সম্প্রতি ‘হাসমত আবদুল্লাহ বাম হাতে পানি খাচ্ছে….বাংলাদেশ কবে এদের হাত থেকে মুক্তি পাবে’ শীর্ষক ক্যাপশনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ একটি ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বাম হাত ব্যবহার করে পানীয় পান করছিলেন না বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় মিরর ইমেজের মাধ্যমে পরিবর্তন করে প্রচারিত ছবিটি সার্কাজমের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোর কমেন্টে ঘটনাটিকে বাস্তব ধরে নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন নেটিজেনরা।
আলোচিত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে ছবিটিতে লাইক-কমেন্ট-শেয়ারের আইকন ও সংখ্যাগুলো উল্টাভাবে প্রদর্শিত হতে দেখা যায়। সাধারণত, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় মূল ভিডিও বা ছবিতে ‘মিরর ইমেজ’ ইফেক্ট ব্যবহার করা হলে এতে থাকা ডানের সব বিষয়বস্তু বামের ও বামের বিষয়বস্তু ডানে প্রদর্শিত হয়।
অনুসন্ধানে, Bangladesh Times live নামক ফেসবুক পেজে গত ১২ এপ্রিল প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ছবিটির সাদৃশ্য রয়েছে।

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসনাত আবদুল্লাহকে একটি পানীয়ের বোতল দেওয়া হয়। পরে তিনি তার ডান হাত দিয়ে বোতলের ঢাকনা খুলে পানীয় পান করেন।
একই বিষয়ে Probashi Vision নামক ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৩ এপ্রিল প্রকাশিত একটি ভিডিওতেও একই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
অর্থাৎ, হাসনাত আবদুল্লাহর তার ডান হাত দ্বারা পানীয় পানের ভিডিও থেকে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে একটি স্থিরচিত্র সংগ্রহ করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সেটির মিরর ইমেজ করার মাধ্যমে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত পোস্টগুলো মজা করার উদ্দেশ্যে তৈরি কিছু ফেসবুক গ্রুপেই প্রচারের পর তা ছড়িয়ে পড়েছে। এসব পোস্টের কমেন্টে ঘটনাটিকে বাস্তব ধরে নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন নেটিজেনরা।
সুতরাং, হাসনাত আবদুল্লাহ বাম হাতে পানি পান করেছেন দাবিতে প্রচারিত এই বিষয়টি স্যাটায়ার বা কৌতুক।
তথ্যসূত্র
- Bangladesh Times live – Facebook Post
- Probashi Vision – Youtube Video
হালনাগাদ/ Update
০১ মে, ২০২৫: এই প্রতিবেদন পুনরায় পর্যালোচনার পর এটির রেটিং ‘মিথ্যা’ থেকে ‘স্যাটায়ার’ হিসেবে পরিবর্তন করা হলো।