সম্প্রতি, বিএনপির নেতাকর্মীদের চাঁদা না দেওয়ায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে মৌমিতা পরিবহনের বাস ভাঙচুর করে তাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
একই ভিডিওটি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ইঙ্গিত করেও ফেসবুকে প্রচার করতে দেখা যায়। এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, চাঁদা না দেওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মৌমিতা পরিবহনের বাস ভাঙচুর করে তাতে অগ্নিসংযোগ করার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, উক্ত পরিবহনের বাসের ধাক্কায় একজন ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা গাড়িটি ভাঙচুর করে তাতে অগ্নিসংযোগ করে। সেই ঘটনার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
আলোচিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Msa Moto নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ৬ অক্টোবর একই ভিডিওর একটি বর্ধিত সংস্করণ প্রচারিত হতে দেখা যায়।

ভিডিওটির শিরোনাম থেকে জানা যায়, সেদিন দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে জেলা পরিষদের সামনে মৌমিতা পরিবহনের বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় একজন ইজিবাইক যাত্রী নিহত ও দুইজন আহত হন। সেসময় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি ভাঙচুর করে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জাতীয় দৈনিক কালবেলার ওয়েবসাইটে একই ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে ভাঙচুরের পর বাসে আগুন শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদন থেকেও সড়ক দূর্ঘটনার বিষয়ে একই তথ্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি জানা যায়, মৌমিতা পরিবহনের বাসের ধাক্কায় নিহত ব্যক্তির নাম মোজাম্মেল হক। এসময় আনিসুর রহমান ও রানা বাবু নামে দুজন অটোরিকশাচালক গুরুতর আহত হন বলে প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়। এছাড়াও জানা যায়, বিক্ষুব্ধ জনতা বাসচালক ও তার সহযোগীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
সুতরাং, চাঁদা না দেওয়ায় মৌমিতা পরিবহনের বাস ভাঙচুর করে তাতে অগ্নিসংযোগ করার দাবিতে বিএনপি ও এনসিপির নামে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Msa Moto Facebook Post
- Kalbela Website: সড়ক অবরোধ করে ভাঙচুরের পর বাসে আগুন