কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিহতের গুজব

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই “ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রকি মারা গেছেন” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

কসবা উপজেলা

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন; এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং  এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্ট

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, কসবা উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারা যাননি এবং রকি নামে কোনো ব্যক্তি কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে নেই। বর্তমান কসবা উপজেলা ছাত্রলীগে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেই কেউ নেই কারণ এটি একটি আহবায়ক কমিটি।

অনুসন্ধানের শুরুতে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধান করে মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় কোনো গণমাধ্যমে এমন কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত ইউনিটে সর্বশেষ কমিটি গঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জুন। উক্ত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক নামের কোনো পদ নেই। ১ জন আহবায়ক, ০২ জন যুগ্ম আহবায়ক ও ২৩ জন সদস্য নিয়ে এই কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিতে রকি নামে কোনো ব্যক্তিও নেই।

Image: Facebook

কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রিমন খান এর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত বিষয়ে একটি পোস্ট খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম। পোস্টে তিনি জানান, “কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। বিভিন্ন ফেক আইডি এবং পেইজ থেকে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রকির মৃত্যু হয়েছে এমন গুজব ছড়ানো হয়েছে। গুজবে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে রকি নামের কেউ নেই।সকল গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ এবং সতর্ক থাকুন।”

সুতরাং, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের কথিত সাধারণ সম্পাদক রকি নিহত হয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img