চট্টগ্রামের দোকানে আগুনের ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক হামলা নয়

সম্প্রতি “চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কধুরখীল গ্রামে হিন্দুদের ৬ টি দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ছড়িয়ে পড়েছে। 

টুইটারে ছড়িয়ে পড়া এমন একটি পোস্ট দেখুন এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বোয়ালখালীর কধুরখীল গ্রামে হিন্দুদের দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়নি বরং উক্ত এলাকায় এক শর্ট সার্কিট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৫ টি দোকান পুড়ে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম উভয়ই রয়েছে।

কী-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দৈনিক আজাদীতে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট “বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল ৫ দোকান” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, বোয়ালখালীতে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ২ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৪টার দিকে কধুরখীল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ৫ টি দোকান পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে, রণি রায়ের মুদি দোকান, মো. করিমের কুলিং কর্ণার, পরিমল নাথের সবজির দোকান, দোলন শীলের সেলুন ও মো. মহরমের সবজির দোকান পুড়ে একেবারেই ছাই হয়ে গেছে। দোকানে রাখা একটি মোটর সাইকেল পুড়েছে ও রনি রায়ের তিনটি ছাগল দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। অর্থাৎ পুড়ে যাওয়া ৫টি দোকানের মধ্যে ৩ টি হিন্দু ধর্মাবলম্বীর ও মুসলমান ধর্মাবলম্বীর রয়েছে ২ জনের। 

পরবর্তীতে মূলধারার অনলাইন গণমাধ্যম Jagonews24.com এ ২ আগস্ট “বোয়ালখালীতে আগুনে ৫ দোকান পুড়ে ছাই” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের কধুরখীল সরকারি বিদ্যালয় সংলগ্ন পাঁচটি দোকান পুড়ে গেছে। আগুনে রণি রায়ের মুদি দোকান, মো. করিমের কুলিং কর্ণার, পরিমল নাথের সবজির দোকান, দোলন শীলের সেলুন ও মো. মহরমের সবজির দোকান পুড়ে গেছে। এছাড়া মুদির দোকানে রাখা রনির তিনটি ছাগল পুড়ে মারা গেছে। আগুনে দোকানে রাখা একটি মোটর সাইকেলও পুড়ে গেছে।

অর্থাৎ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে হিন্দু-মুসলমান উভয়েরই দোকান রয়েছে।

মূলত, গত ২ আগস্ট সোমবার ভোরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল সরকারি বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একটি মুদির দোকান, একটি সেলুন ও দুটি সবজির দোকান সহ অন্তত ৫ টি দোকান পুড়ে যায়। এছাড়া এই ঘটনায় আগুনে পুড়ে অন্তত তিনটি ছাগল মারা যায়। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে ঘটা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে হিন্দুদের দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীলে হিন্দুদের দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

Dainik Azadi: বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল ৫ দোকান

Dhakatimes24.com: বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়েছে ৫ দোকান

আরও পড়ুন

spot_img