সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে নির্যাতনের একটি দৃশ্য প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, প্রচারিত ছবিটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্যাতনের দৃশ্যের।
এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
এরূপ দাবিতে এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
এছাড়াও, উক্ত ছবিটি খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের আরেক সন্তান আরাফাত রহমান কোকোর ছবি দাবিতেও ইউটিউবে প্রচার হয়েছে। দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি তারেক বা কোকোকে নির্যাতনের দৃশ্যের নয় বরং, ২০০২ সালে চীনের হেনান প্রদেশে কাই জিয়াংডং নামে এক যুবকের ওপর পুলিশের নির্যাতনের দৃশ্য আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Minghui’ নামে চীন ভিত্তিক এক প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইটে ‘The Shocking Exposure of Chinese Police Torturing Spiritual Followers (A Set of Photos)’ শীর্ষক শিরোনামে ২০০৩ সালের ২১ মার্চে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটির সংযুক্তি পাওয়া যায়। ছবিটি সম্পর্কে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “…নির্যাতনের শিকার: কাই জিয়াংডং, যিনি ফ্যামিলি চার্চের অনুসারী। স্থান: কংঝুয়াং টাউনশিপ পুলিশ স্টেশন, শিয়ায়ি কাউন্টি, হেনান প্রদেশ। সময়: ১১ আগস্ট ২০০২, রাত আনুমানিক ১১টা। সহিংসকারী: শিয়ে (৫৬ বছর), কংঝুয়াং টাউনশিপ পুলিশ স্টেশনের প্রধান, এবং আরও তিনজন।” (অনূদিত)
এছাড়াও, একই ঘটনার দাবিতে ‘china21’ নামক একটি ওয়েবসাইটেও আলোচিত ছবিটি পাওয়া যায়।
এছাড়াও অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত ছবিটি এর আগে ২০১৯ সালে পূর্ব তুর্কিস্তানে নির্যাতনের দৃশ্য দাবিতে তুরস্কে প্রচার হয়েছে। সেসময় তুরস্ক ভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ‘teyit’ এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে অনুসন্ধানে তারা জানায় ছবিটি মূলত চীনের।
সুতরাং, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্যাতনের দৃশ্য দাবিতে কাই জিয়াংডং নামক এক চীনা ব্যক্তিকে নির্যাতনের দৃশ্য প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
