সম্প্রতি, “বলাৎকার হলে ৯৯৯ এ ফোন দিতে হবে” শীর্ষক লেখা সম্বলিত একটি ব্ল্যাকবোর্ডের ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছড়িয়ে পড়া ব্ল্যাকবোর্ডের মূল ছবিটিতে “বলাৎকার হলে ৯৯৯ এ ফোন দিতে হবে” শীর্ষক কোনো লেখা ছিল না বরং শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের সময় “বয়কট ইন্ডিয়ান পণ্য” শীর্ষক একটি লেখা ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে এডিট করে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের ভেরিফাইড ফেসবুক (আর্কাইভ) পেজে গত ১৮ এপ্রিল প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত ভিডিওতে ব্ল্যাকবোর্ডের দৃশ্যটিও রয়েছে। চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ধারণকৃত এই ভিডিওতে একজন শিক্ষককে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করতে দেখা যায়। সেসময় পাঠদান কক্ষের ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা ছিল ‘বয়কট ইন্ডিয়ান পণ্য।’

যা থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে, ব্ল্যাকবোর্ডের “বয়কট ইন্ডিয়ান পণ্য” লেখাটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে এডিট বা সম্পাদনা করে তার স্থলে “বলাৎকার হলে ৯৯৯ এ ফোন দিতে হবে” লেখাটি যুক্ত করা হয়েছে।
মূলত, শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের সময় ব্ল্যাকবোর্ডে “বয়কট ইন্ডিয়ান পণ্য” শীর্ষক লেখা সম্বলিত একটি ভিডিও স্ক্রিনশট ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায্যে এডিট বা সম্পাদনা করে সম্প্রতি শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের সময় ব্ল্যাকবোর্ডে শিক্ষক “বলাৎকার হলে ৯৯৯ এ ফোন দিতে হবে” শীর্ষক বাক্য লিখেছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
সুতরাং, পাঠদানের সময় ব্ল্যাকবোর্ডে “বলাৎকার হলে ৯৯৯ এ ফোন দিতে হবে” শীর্ষক লেখাটি এডিটেড বা সম্পাদিত।
তথ্যসূত্র
- Facebook Post: Pinaki Bhattacharya-পিনাকী ভট্টাচার্য
- Rumor Scanner’s own analysis