সম্প্রতি ‘কুমিল্লা ইলিয়াস গঞ্জ মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা রুনাকে ধর্ষণ পরে হত্যা করে নালাই ফেলে রাখে’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে৷

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কুমিল্লার ‘ইলিয়াসগঞ্জ’ নামক কোনো জায়গায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কথিত সাধারণ সম্পাদক রুনাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নালায় ফেলে দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে, একটি বিদেশী স্ক্রিপ্টেড ভিডিওকে নালায় কথিত সাধারণ সম্পাদকের লাশ দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে @ththakor3289 নামক ইউটিউব চ্যানেলে গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

উভয় ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, মূল ভিডিওটিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ক্রপ করে ও মিরর ইমেজ ইফেক্ট ব্যবহার করে এবং এতে ভিন্ন একটি অডিও মিউজিক যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
মূল ভিডিওটির স্ক্রিনে থাকা শিরোনাম থেকে জানা যায়, পানিতে পড়ার কারণজনিত দুর্ঘটনা এড়াতে এটি একটি শিক্ষামূলক ভিডিও। ভিডিওর গল্পটি কাল্পনিক (গুগলের সাহায্যে চীনা ভাষা থেকে বাংলায় অনূদিত)।
পরবর্তীতে, @ththakor3289 নামক চ্যানেলটিতে একই পোশাকে একই ধরণের স্ক্রিপ্টে আরও বেশ কিছু ভিডিও (১, ২, ৩) খুঁজে পাওয়া যায়।
এছাড়া, অনুসন্ধানে কুমিল্লা জেলায় ‘ইলিয়াসগঞ্জ’ নামে কোনো স্থান পাওয়া যায়নি। তবে, এর কাছাকাছি নামের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ‘ইলিয়াটগঞ্জ’ এলাকা পাওয়া গেছে।
তাছাড়া, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট বিশ্বস্ত কোনো সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লায় মহিলা আওয়ামী লীগের রুনা নামক কোনো সাধারণ সম্পাদককে ধর্ষণের পরে হত্যার বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, কুমিল্লার ইলিয়াসগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের কথিত সাধারণ সম্পাদক রুনাকে ধর্ষণের পরে হত্যা করে নালায় ফেলে রাখা হয়েছে দাবিটি মিথ্যা এবং প্রচারিত ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড।
তথ্যসূত্র
- @ththakor3289 – YouTube Video
- @ththakor3289 – YouTube Video (1, 2, 3)