সম্প্রতি, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর কামিল মাদ্রাসার একটি অনুষ্ঠানে এক মেয়ের কোরআন তেলাওয়াতের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযো মাধ্যম ফেসবুকে বেশ ভাইরাল হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। এমনকি এই ভিডিও উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও শেয়ার করা হয়েছে।

গত ০১ জানুয়ারি প্রকাশিত উক্ত একটি ভিডিওই প্রায় ১৫ লক্ষাধিক বার দেখা হয়েছে।
একই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত আরও পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ),এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর কামিল মাদ্রাসার একটি অনুষ্ঠানে এক মেয়ের কোরআন তেলাওয়াতের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে থাকা অডিওটি উক্ত মেয়ের নয় বরং, এই ভিডিওতে যে অডিওটি ব্যবহার করা হয়েছে তা ইউটিউবে ঘানার মেয়ে হুজাইফা আব্দুল নাইমের চ্যানেলে পাওয়া যাচ্ছে। তিনি ২০২৪ সালে এই অডিওসহ কোরআন তেলাওয়াতের ভিডিওটি আপলোড করেন।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Huzaifa Abdul Naim’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘Surah Maryam 30-34’ শীর্ষক ক্যাপশনে আপলোডকৃত ভিডিওটির অডিওর সাথে মিল লক্ষ্য করা যায়।

অর্থাৎ, এই তেলাওয়াতের অডিও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে সংযুক্ত করে তা প্রচার করা হয়েছে। এই ভিডিওতে সূরা মারইয়ামের ৩০ থেকে ৩৪ নং আয়াত তেলাওয়াত করা হয়েছে। তবে আলোচিত ভিডিওটিতে ৩০ থেকে ৩৩ নং আয়াত (৩৩ নং আয়াতের কিছু অংশ) পর্যন্ত যুক্ত করা হয়েছে।
উক্ত ইউটিউব চ্যানেলটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, মেয়েটির কোরআনের বিভিন্ন সূরার আয়াত তেলাওয়াতের অনেক ভিডিও রয়েছে। এছাড়া, ইউটিউব চ্যানেলটির অ্যাবাউট সেকশনে যুক্ত করা ফেসবুক প্রোফাইল লিংক হিসেবে যুক্ত করা লিংক-এ গিয়ে ‘Huzaifaabdulnaim’ নামক একটি ফেসবুক পেজ খুঁজে পাওয়া যায়। ফেসবুক পেজটির ইন্ট্রো এবং পেজ ট্রান্সপারেন্সি থেকে জানা যায়, তিনি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার মেয়ে।
সুতরাং, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর কামিল মাদ্রাসার একটি অনুষ্ঠানে এক মেয়ের কোরআন তেলাওয়াতের দৃশ্য দাবিতে ইন্টারনেট থেকে ভিন্ন এক নারীর কোরআন তেলাওয়াতের অডিও সংগ্রহ করে তা সংযুক্ত করে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Huzaifa Abdul Naim: Surah Maryam 30-34
- Facebook: ‘Huzaifaabdulnaim