সম্প্রতি, “কেউ গাঁজা খেলে দেওয়া হবে ৩ দিনের রিমান্ড ও ৩ মাস কারাদন্ড” শীর্ষক একটি মন্তব্যের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ছবিযুক্ত একটি ডিজিটাল ব্যানার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “কেউ গাঁজা খেলে দেওয়া হবে ৩ দিনের রিমান্ড ও ৩ মাস কারাদন্ড” শীর্ষক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি এবং আসিফ মাহমুদও এসংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করেননি বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।
শুরুতে আলোচিত দাবিটির সূত্রপাতের বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ফেসবুক মনিটরিং টুল ব্যবহার করে গত ০৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় Hafez Md Sajidul Islam নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে করা সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে, উক্ত পোস্টে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি এবং আসিফ মাহমুদকেও উদ্ধৃত করা হয়নি।
পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আসিফ মাহমুদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজেও এসংক্রান্ত কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি। তিনি ছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্য কোনো উপদেষ্টার এমন কোনো বক্তব্যের প্রমাণ মেলেনি।
বাংলাদেশের বর্তমান আইন অনুযায়ী মাদকদ্রব্য গাঁজার বিষয়ে শাস্তি কি?
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন– ২০১৮ অনুসারে, গাঁজা বা ভাং গাছের শাখা-প্রশাখা, পাতা, ফুল ইত্যাদির দ্বারা তৈরি মাদকের পরিমাণ ৫ কেজি বা তার কম হলে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড, মাদকের পরিমাণ ৫ কেজি থেকে ১৫ কেজির মধ্যে হলে ৫ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড এবং মাদকের পরিমাণ ১৫ কেজির বেশি হলে ৭ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে।
সুতরাং, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে উদ্ধৃত করে “কেউ গাঁজা খেলে দেওয়া হবে ৩ দিনের রিমান্ড ও ৩ মাস কারাদন্ড” শীর্ষক একটি তথ্যটি প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Hafez Md Sajidul Islam- Facebook Post
- Asif Mahmud- Facebook Account
- Asif Mahmud- Facebook Page
- Rumor Scanner’s Own Analysis