সম্প্রতি ‘জুলাই আগস্টে থানাায় আক্রমণের মধ্যমে লুট করা প্রায় ১৪০০ অস্ত্র ও ২৫০০০০ গোলাবারুদ উদ্ধারে সরকারের এতো অনিহা কেনো? কারণ সব অস্ত্র সমন্বয়ক জঙ্গী জামায়াত-শিবিরের হাতে। ভিডিওতে চট্টগ্রামে পতেঙ্গা অঞ্চলে দুইজন সমন্বয়ক সন্ত্রাসী পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র হাতে মহড়া দিচ্ছে।’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে
একই ভিডিও ‘#TerrorAlert! This video is not from Syria or Gaza. It is from Bangladesh. Youths are publicly waving weapons as they are being trained by Pakistani ISI to attack India as well as Indian and American establishments in Bangladesh.’ শীর্ষক ক্যাপশনে এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে প্রচার করা হচ্ছে ৷ যার অর্থ দাঁড়ায়, #সন্ত্রাসের সতর্কতা! এই ভিডিওটি সিরিয়া বা গাজার নয়। এটি বাংলাদেশের। পাকিস্তানি আইএসআই কর্তৃক ভারত, বাংলাদেশে ভারতীয় ও আমেরিকান স্থাপনাগুলিতে আক্রমণ করার প্রশিক্ষণ দেওয়ায় যুবকরা প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে ধরছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামে পতেঙ্গা অঞ্চলে দুইজন সমন্বয়ক সন্ত্রাসী পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র হাতে মহড়া দিচ্ছে দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর ঘটনাটি বাস্তবে ঘটেনি বরং, টগর সিনেমার শ্যুটিং সেটের দৃশ্যকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতেই ভিডিও এনালাইসিস করে বন্দুক হাতে ব্যক্তির গায়ের গেঞ্জিতে টগর লেখা দেখতে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে টগর নামক সিনেমার বিষয়ে অনুসন্ধানে The Daily Star এর ওয়েবসাইটে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত ‘শুটিং শুরুর আগে জানা গেল ‘টগর’ সিনেমার নায়িকা পূজা চেরি’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্ক টিমের।
উক্ত সূত্র ধরে আলোচিত দাবির বিষয়ে জানতে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক টিমের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তারা নিশ্চিত করেছে আলোচিত দাবিটি ভুয়া। এটা টগর সিনেমার দৃশ্য। তাদের দাবি, দূর হতে কেউ ভিডিও করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়েছে। সিনেমার শ্যুটিং এর বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন অবগত রয়েছে।

ঘটনার প্রমাণের স্বপক্ষে ভিডিওতে দেখানো বাস, অংশগ্রহণকারী তরুণদের ছবি এবং যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে অনুমতিপত্রের প্রমাণ রিউমর স্ক্যানার টিমের হাতে এসেছে।

এই ছবিতে পরিহিত টি-শার্ট এবং ভিডিওতে দেখানো টি-শার্টের মধ্যে মিল লক্ষ্য করা যায়।
অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওচিত্রের দৃশ্যের সাথে দাবিটির সম্পর্ক নেই।
সুতরাং, চট্টগ্রামে পতেঙ্গা অঞ্চলে দুইজন সমন্বয়ক সন্ত্রাসী পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র হাতে মহড়া দিচ্ছে দাবিতে টগর সিনেমার শ্যুটিং সেটের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।