সম্প্রতি, “ আবারো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ইমরান খান” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত এমন একটি ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আবারও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইমরান খান শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পিটিআই দলের প্রধান ইমরান খান ২০২২ সালে পাকিস্তানের উপ-নির্বাচনে জয়ের পর সমর্থকদের উল্লাসের একটি ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায় আলোচিত ভিডিওটিতে ‘GNEWS।TV’ এর একটি লোগো রয়েছে অর্থাৎ এটি GNEWS।TV তে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন ভিডিও।
উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনের তথ্যের সূত্র ধরে কিওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর “ ‘ভোটের ফলাফল প্রকাশ’ ‘বিশাল জয় ইমরানের’ ইমরান খানের খবর। পাকিস্তানের খবর, Imran Khan, Jamuna tv” শীর্ষক শিরোনামে একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইমরান খান বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
আরও অনুসন্ধানে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর ইংরেজি দৈনিক দ্য বিসনেজ স্ট্যান্ডার্ড এর বাংলা সংস্করণে “পাকিস্তানের উপ-নির্বাচনে ৮ আসনের ৬টিতেই ইকরানের জয়”শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২২ সালে পাকিস্তানের কয়েকটি আসনের উপ-নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছেন ইমরান খান। ৮ টি আসনের ৭ টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬ টিতেই জয়ী হয়েছেন ইমরান খান।
অর্থাৎ উক্ত সময়কার জয় পরবর্তী সময়ে সমর্থকদের উল্লাসের একটি ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
মূলত, ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর ৮ টি আসনে পাকিস্তানের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত নির্বাচনে ৭ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬ টিতেই জয় লাভ করে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পিটিআই দলের প্রধান ইমরান খান। উক্ত জয় পরবর্তী সময়ে সমর্থকদের উল্লাসের একটি ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে আবারও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ইমরান খান শীর্ষক দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইমরান খান গত ৫ আগস্ট থেকে রাওলপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি আছেন। তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর।
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে দেশটির সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
সুতরাং, আবারও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইমরান খান শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।