সম্প্রতি, ডব্লিউডব্লিউই (ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট)-এর জনপ্রিয় রেসলার জন সিনা পবিত্র কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে রেসলিং রিংয়ে উঠেছেন দাবিতে দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হযেছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ইউটিউবে প্রচারিত ভুডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
টিকটকে প্রচারিত ভুডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জন সিনার পবিত্র কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে রেসলিং রিংয়ে উঠার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সহায়তায় ছবিগুলো তৈরি করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যালোচনায় প্রথম ছবির রেসলিং রিংয়ে কিছুটা অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা যায়। জন সিনার পেছনের দিকে তিনটি দড়ি দেখা গেলেও তার সামনে প্রায় একই উচ্চতায় মাত্র একটি দড়ি দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ছবির বামপাশে দেখতে পাওয়া রিংয়ের কর্নারে ডব্লিউডব্লিউই-এর লোগো খচিত দুটি বস্তু দেখা গেলেও উপরের দিকে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি, কোরআন শরীফের কাভারের লেখাটিও অর্থপূর্ণ নয় বলে লক্ষ্য করা যায়।

একইভাবে দ্বিতীয় ছবিটির পর্যালোচনা করে, এতে জন সিনার বাম হাতে চারটি আঙুল লক্ষ্য করা যায়। যা থেকে ধারণা করা যায়, উভয় ছবিই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে আলোচিত ছবিগুলো রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমেও উক্ত ছবিগুলোর কোনো সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও জন সিনার কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে রেসলিং রিংয়ে উঠার সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমেও গণমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, কোরআন শরীফ হাতে জন সিনার আলোচিত ছবিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি ছবির ভিত্তিতে জনপ্রিয় রেসলার জন সিনা পবিত্র কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে রেসলিং রিংয়ে উঠেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Rumor Scanner’s Analysis