Home Blog Page 80

ফরিদপুরে মাদকসহ কয়েকজনকে আটকের দৃশ্যটি জামায়াত কিংবা বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের নয়

0

সম্প্রতি, ‘ফরিদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামের আমীর মাওলামা মোহাম্মদ বদরুদ্দিনের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, জুলাই সন্ত্রাসী আন্দোলনে ব্যবহৃত শতাধিক দেশীয় অস্ত্র এবং পর্ণোগ্রাফি তৈরীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ বেশ কয়েকজন নারী সমন্বয়ককে উদ্ধার এবং গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।’- শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

এছাড়া, একই ভিডিও ‘ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদরুদ্দিনের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ৪৫ কেজি গাঁজা, ৩৩৭টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২১১টি হেরোইনের প্যাকেট, ব্যবহৃত শতাধিক দেশীয় অস্ত্র, ২টি বিদেশি মদের বোতল, ৯টি ফিচার ফোন এবং ১০টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও পর্ণোগ্রাফি তৈরীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি সহ বেশ কয়েকজন নারী (পতিতা)’ কে উদ্ধার এবং গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।’- শীর্ষক দাবিতেও প্রচার করতে দেখা যায়।

জামায়াতে আমিরের বাসা দাবিতে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

বিএনপি নেতার বাসা দাবিতে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ফরিদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদকসহ কয়েকজন গ্রেফতারের ঘটনাটি বিএনপি কিংবা জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে নয়। গত ২৬ জুন রাতে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষীপুর রেলবস্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটকের দৃশ্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটিতে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ডিবিসি নিউজের লোগো রয়েছে। উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ডিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৭ জুন প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

ডিবিসি নিউজ কর্তৃক প্রচারিত ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে নারীসহ ১৫ মাদক ব্যবসায়ী আটকের।

উক্ত ভিডিও থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আজকের পত্রিকার ওয়েবসাইটে গত ২৭ জুন “ফরিদপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে নারীসহ আটক ১৫”- শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়৷ উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৬ জুন রাত ৮ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষীপুর রেলবস্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল। অভিযানে নারীসহ ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে ৪৫ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ৩৩৭টি ইয়াবা, ২১১টি হেরোইনের প্যাকেট, ৬১টি দেশীয় অস্ত্র, দুটি বিদেশি মদের বোতল, নয়টি ফিচার ফোন ও ১০টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন জব্দ করা হয়েছে।

অর্থাৎ, অভিযানটি জামায়াত বা বিএনপির কোনো নেতার বাড়িতে পরিচালিত হয়নি।

এছাড়া, আটককৃতরা সমন্বয়ক এমন কোনো তথ্যও প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ নেই।

সুতরাং, ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষীপুর রেলবস্তিতে যৌথ বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে ১৫ জনকে আটকের দৃশ্যকে জামায়াত বা বিএনপির নেতার বাড়ি থেকে মাদকসহ নারী সমন্বয়কদের গ্রেফতার দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

থাইল্যান্ডে গাঁজা কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগার ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার

0

গত ২৭ জুন আরটিভির ফেসবুক পেজে “গাঁজা কিনতে লাগবে ‘প্রেসক্রিপশন’” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ডকে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আরটিভিতে প্রকাশিত গাঁজা কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়, বরং এটি থাইল্যান্ডের ঘটনা।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটির মন্তব্যঘরে পাওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “গাঁজার অবাধ ব্যবহারে লাগাম টানতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে থাইল্যান্ডের সরকার। তিন বছর আগে গাঁজা বৈধ করার পর এবার এ বিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘোষণা দিলেন দেশটির সরকার। এখন থেকে গাঁজা কিনতে দেশটিতে প্রয়োজন হবে প্রেসক্রিপসন বা ডাক্তারি ব্যবস্থাপত্র। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) বরাতে বলা হয়, গাঁজা নিয়ন্ত্রণে আবারও কঠোর হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার। গত ২৪ জুন (মঙ্গলবার) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুয়েতিন এক আদেশের মাধ্যমে সব দোকানে প্রেসক্রিপশন ছাড়া গাঁজা বিক্রি নিষিদ্ধ করেন। এ ছাড়া গাঁজা ফুলকে ‘নিয়ন্ত্রিত ভেষজ’ হিসেবে পুনরায় শ্রেণিকরণের প্রস্তাব দেন তিনি।”

অর্থাৎ, গাঁজা কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়। আরটিভিতে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনামে দেশের নাম উল্লেখ না করায় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এটিকে বাংলাদেশের ঘটনা ধরে নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

সুতরাং, গাঁজার অবাধ ব্যবহারে লাগাম টানতে থাইল্যান্ড সরকারের গাঁজা কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগার উদ্যোগের ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

কথিত যুব মহিলা দল নেত্রীর ভিডিও দাবিতে ভারতীয় নারীর এডাল্ট ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, মতিঝিল বিএনপির যুব মহিলা দলের নেত্রী ফারজানা চৌধুরী সেলিনা দাবিতে একটি এডাল্ট ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুব মহিলা দল নামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর অনুমোদিত কোনো অঙ্গ কিংবা সহযোগী সংগঠনই নেই। প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনেট থেকে এক নারীর এডাল্ট ভিডিও সংগ্রহ করে তা আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘indian.viral.memes2.0’ নামক ইনস্টগ্রাম অ্যাকান্টে গত ১৪ এপ্রিল প্রচারিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওরে মিল রয়েছে। ভিডিওটিতে মেয়েটিকে অন্য আরেকটি মেয়ের সাথে হিন্দিতে কথা বলতে দেখা যায়। এছাড়াও, ভিডিওটিতে ‘SYM CREATION’ নামে একটি লোগো দেখতে পাওয়া যায়।

এছাড়াও একই লোগোযুক্ত ভিডিওটি গত ১৫ এপ্রিল ‘love_guru____20k’ নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকেও প্রচার করতে দেখা যায়।

উক্ত লোগোর সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ফেসবুকে ‘SYM Creation’ নামক একটি ফেসবুক পেজ খুঁজে পাওয়া যায়। পেজটির লোগোর সাথে পূর্বে ‍উল্লিখিত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ভিডিওর লোগোর মিল রয়েছে। তবে, পেজটিতে ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, পেজটিতে সর্বশেষ পোস্ট দেখা যায় ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর। পেজটির ট্রান্সপারেন্সি সেকশন যাচাই করে দেখা যায় ভারতে থেকে ৫ জন ব্যক্তি পেজটি পরিচালনা করেন। আরও জানা যায় পেজটি ২০২১ সালের ২ অক্টোবর ‘Desi Comedy’ নামে তৈরি করা হয়। একই বছরের ৩০ অক্টোবর নাম পরিবর্তন করে ‘Desi Baheduaa Comedy’ নাম রাখা হয় এবং একই বছরের ৭ নভেম্বর পেজটির বর্তমান নাম ‘SYM Creation’ নামে পরিবর্তন করা হয়।

তবে ইনস্টাগ্রামেমে ‘sym_company_official’ নামক অ্যাকাউন্টে গত ২০ ও ১০ জুন ভিডিওটি দুইভাবে প্রচার করতে দেখা যায়। অ্যাকাউন্টটির লোকেশন হিসেবে ভারত উল্লেখ রয়েছে। অ্যাকাউন্টটি ৩ বার নাম পরিবর্তন করেছে।

এছাড়াও ইনস্টাগ্রামে একই লোগোতে এবং প্রায় একই নামে আরও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যায়। দেখুন – এখানেএখানে

kavyareddy5486’ নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ২৭ মে এবং ‘_aditi_252526’ নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ২৯ মে একই মেয়ের ভিন্ন একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

তাছাড়া, আলোচিত ভিডিওটিতে থাকা মেয়েটির ‘SYM Video Clip’ নামক ফেসবুক পেজে একাধিক ভিডিও পাওয়া যায়। দেখুন – এখানেএখানেএখানেএখানেএখানে। ভিডিওগুলোতে মেয়েটিকে হিন্দিতে কথা বলতে দেখা যায়। পেজটির ট্রান্সপারেন্সি সেকশন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় পেজটি ভারত থেকে ৪ জন ব্যক্তি পরিচালনা করে থাকেন এবং দেখা যায় পেজটি ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিল তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে অনুসন্ধানে মতিঝিল বিএনপির কথিত যুব মহিলা দলের নেত্রীর পরিচয় খোঁজ করতে গিয়ে  বিএনপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে দলটির ৯ টি সহযোগী ও ২ টি অঙ্গ সংগঠনের নাম পাওয়া যায়। ১১ টির সংগঠনের মধ্যে যুব মহিলা দল নামে কোনো সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

সহযোগী সংগঠনগুলো হল- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল। অঙ্গসংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর অনলাইন সংবাদমাধ্যম জাগো নিউজ২৪ এর ওয়েবসাইট “নিপুণ-রুমার নেতৃত্বে যুব মহিলা দল!” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রতিবেদনে অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করা হয়, “অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমাকে সদস্য সচিব করে জাতীয়তাবাদী যুব মহিলা দল গঠনের খসড়া কাজ চলছে।” তবে এই প্রতিবেদনের পরবর্তী সময়ে এই কথিত কমিটি গঠনের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

জাগো নিউজ২৪ এর প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে সানজানা চৈতী পপিকে সভাপতি ও লায়ন হাসিনা মোর্শেদ কাকলীকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয়তাবাদী যুব মহিলা দল গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে তৎকালীন মহিলা দলের এক প্রভাবশালীর নেত্রীর বিরোধিতার কারণে শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।

সুতরাং, ইন্টারনেট থেকে ভারতীয় নারীর এডাল্ট ভিডিও সংগ্রহ করে কথিত যুব মহিলা দলের মতিঝিল শাখার নেত্রীর ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের ছবি দাবিতে এআই দিয়ে তৈরি ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি, অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের ছবি দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের দাবিতে প্রচারিত ছবিটি বাস্তব নয়। প্রকৃতপক্ষে, আলোচিত ছবিটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে।

অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সবসময় সক্রিয় থাকেন। তিনি নতুন কোনো ফটোশুট করে থাকলে সেগুলো সাধারণত সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে থাকেন। তাই উক্ত ছবির বিষয়ে অনুসন্ধানে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে পর্যবেক্ষণে রিউমর স্ক্যানার তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো অ্যাকাউন্টে-ই উক্ত ছবির অস্থিত্ব খুঁজে পায়নি।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Cinemalogy : সিনেমালোজি নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ২১ জুন প্রচারিত একই ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটির শিরোনামে উল্লেখ করা হয় উক্ত ছবিটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে পরবর্তীতে এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম Hive Moderation এ ছবিটি পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯ শতাংশ।

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি ছবিকে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের আসল ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Cinemalogy : সিনেমালোজি Facebook Page Post
  • Hive Moderation

নবাবগঞ্জের কথিত সমন্বয়ক নাছিমা বিন্তে আনিকার এডাল্ট দৃশ্য দাবিতে ভারতীয় মডেলের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ‘নবাবগঞ্জের ২৪ এর পায়ু যোদ্ধা সমন্বয়ক নাছিমা বিন্তে আনিকার বলি বল দেখুন’ ক্যাপশনে একটি নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওর নারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবাবগঞ্জ কিংবা অন্য কোনো স্থানের সমন্বয়ক নন। বরং, ইন্টারনেট থেকে ভারতীয় এক মডেলের ভিডিও সংগ্রহ করে তা আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Heya Das’ নামক ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ০৬ জুনে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

পরবর্তীতে ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি পর্যালোচনার মাধ্যমে জানা যায়, ভিডিওর নারীর নাম হিয়া দাস। তিনি একজন বিউটি কেয়ার স্পেশালিস্ট ও মডেল। পাশাপাশি তার অ্যাকাউন্টে প্রচারিত একাধিক ভিডিও পর্যালোচনার মাধ্যমে জানা যায়, তিনি একজন ভারতীয়।

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিত যে ভিডিওটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নারী সমন্বয়কের নয়।

এছাড়া, অনুসন্ধানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাছিমা বিন্তে আনিকা নামের কোনো নারী সমন্বয়ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবাবগঞ্জের নাছিমা বিন্তে আনিকা নামক কথিত নারী সমন্বয়কের এডাল্ট দৃশ্য দাবিতে ভারতীয় নারীর ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

বরিশালে পলিথিনে আবৃত হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মুসলিম নারীকে হিন্দু দাবিতে প্রচার 

0

সম্প্রতি, ‘বরিশালে আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা: ভোলা রোডের তালুকদার মার্কেটের কাছে জঙ্গল থেকে এক বিবাহিত হিন্দু নারীকে হাত-পা বাঁধা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষণের সন্দেহ করা হচ্ছে। হিন্দুদের জীবন ক্রমাগত হামলার মুখে। বিশ্ব কবে জাগবে?’- শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ছবি যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

একই দাবিতে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে

এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

একই দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ দেখুন টিভি নাইন বাংলা

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বরিশালের ভোলায় পলিথিনে আবৃত হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নারী হিন্দু ধর্মাবলম্বী নন। বরং, তিনি মুসলিম। নাম মারিয়া বেগম। 

অনুসন্ধানে ‘খবরের কথা’ নামক একটি সংবাদভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইটে গতকাল (২৯ জুন) “বরিশালে পলিথিন প্যাঁচানো হাত পা বাঁধা নারী উদ্ধার”- শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে থাকা ছবির সাথে আলোচিত ছবির মিল রয়েছে। 

Image Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৯ জুন বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পাশ থেকে হাত-পা বাধা ও পলিথিনে পেচানো অবস্থায় এসিডদগ্ধ এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বরিশাল বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওই নারীকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতারের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নেওয়া হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম আজকের পত্রিকা এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনের ওয়েবসাইটে গতকাল (২৯ জুন) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল বরিশালে পলিথিনের বস্তার মধ্যে হাত-পা-চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে তালুকদার হাট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার গৃহবধূর নাম মারিয়া আক্তার। সে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাকরাল গ্রামের বাসিন্দা ও ভোলার ব্যবসায়ী মশিউর রহমানের স্ত্রী।

অর্থাৎ, হাত-পা বাঁধা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নারী ও তার পরিবারের সদস্যের নাম দেখে এটা নিশ্চিত যে,তিনি একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী।

সুতরাং, বরিশালে পলিথিনে আবৃত হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া এক মুসলিম নারীকে এক্সে হিন্দু দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

ওয়ারীর কথিত মুখ্য সমন্বয়ক দাবিতে ভিনদেশি নারীর এডাল্ট ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওটি ওয়ারীর মুখ্য সমন্বয়ক সুচনা তাসনিম বিন্তির ভিডিও।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওয়ারী কিংবা অন্য কোনো এলাকার নারী সমন্বয়কের নয় বরং, ইন্টারনেট থেকে ‘বিনি’ নামের ভিনদেশি এক নারীর ভিডিও সংগ্রহ করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ‘binnie__here’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ৮ মে তারিখে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে উক্ত নারীর আরো অনেক ছবিভিডিও পাওয়া যায়। যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি ‘বিনি’ নামক উক্ত নারীর। 

পরবর্তীতে উক্ত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটির অ্যাবাউট সেকশন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় অ্যাকাউন্টটি মূলত কানাডা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। তবে আলোচিত ভিডিওটিসহ উক্ত নারীর নানা ভিডিওতে “নেপালি” হ্যাশট্যাগটিও দেখতে পাওয়া যায়।

Screenshot: Rumor Scanner/Instagram

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিত যে ভিডিওটি জুলাই আন্দোলনের কোনো নারী সমন্বয়কের নয়।

এছাড়া, অনুসন্ধানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুচনা তাসনিম বিন্তি নামের কোনো নারী সমন্বয়ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ইন্টারনেট থেকে ‘বিনি’ নামের ভিনদেশি এক নারীর এডাল্ট ভিডিও সংগ্রহ করে তা ওয়ারীর কথিত মুখ্য সমন্বয়ক সুচনা তাসনিম বিন্তির ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

তারেক রহমানকে বাটপার বলেননি নুরুল হক নুর, জনকণ্ঠের নামে সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর “মানুষ এত বড় বাটপার হয়, তারেক রহমানকে না দেখলে বোঝা যায় না” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে দৈনিক জনকণ্ঠের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নুরুল হক নুর আলোচিত মন্তব্যটি করেননি এবং উক্ত শিরোনামে দৈনিক জনকণ্ঠও কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, নুরুল হক নুরের ভিন্ন মন্তব্য সম্বলিত জনকণ্ঠের একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে জনকণ্ঠের লোগো এবং প্রকাশের তারিখ ২২ জুন ২০২৫ উল্লেখ রয়েছে।

তবে জনকণ্ঠের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদের অস্তিত্ব মেলেনি। পাশাপাশি কোনো নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম থেকেও এ ধরনের মন্তব্যের তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে, ওই দিন জনকণ্ঠের ফেসবুক পেজে “একজন লিডার এতো নমনীয় হতে পারে, তারেক রহমানকে না দেখলে বোঝা যায় না: নুরুল হক নূর” শীর্ষক একটি ফটোকার্ড পাওয়া যায়। এই ফটোকার্ডের ডিজাইন ও ছবি আলোচিত ফটোকার্ডের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। মূল ফটোকার্ডের শিরোনামে “একজন লিডার এতো নমনীয় হতে পারে” অংশটির পরিবর্তে “মানুষ এত বড় বাটপার হয়” বসিয়ে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner.

এ বিষয়ে জনকণ্ঠের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে নুরুল হক নুর বলেন, “একজন লিডার এতো নমনীয় হতে পারে, তারেক রহমানকে না দেখলে বোঝা যায় না।”  

সুতরাং, নুরুল হক নুর “মানুষ এত বড় বাটপার হয়, তারেক রাহমানকে না দেখলে বোঝা যায় না” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে জনকণ্ঠের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

জামায়াত ও শিবির নেতার অন্তরঙ্গ দৃশ্য দাবিতে পাকিস্তানের মাদ্রাসা শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের ভিডিও প্রচার 

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নেতার অন্তরঙ্গ দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আপত্তিকর অবস্থার ভিডিওটি জামায়াতও ছাত্রশিবির  নেতার নয় বরং, প্রচারিত ভিডিওটি ২০২১ সালে পাকিস্তানের এক মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও।

অনুসন্ধানে Muhbir নামক একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২২ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর চারটি ছবি যুক্ত করে প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবিগুলোতে থাকা ব্যক্তি, স্থান এবং পোশাকের সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত পোস্টে বলা হয়, দৃশ্যটি পাকিস্তানের এক ধর্মীয় নেতা কর্তৃক তার শিষ্যর সাথে সমকামির দৃশ্য এটি। 

এই সূত্র ধরে অনুসন্ধানে পাকিস্তানের গণমাধ্যম The Express Tribune এর ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের ১৫ জুন “70-year-old madrassa teacher under fire after student leaks ‘molestation’ video”- শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে থাকা ছবির সাথেও আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Screenshot: The Express Tribune

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৫ জুন রাতে ৭০ বছর বয়সী ধর্মীয় নেতা এবং লাহোরের জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের ভাইস-আমির মুফতি আজিজুর রহমান কর্তৃক তার শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তবে মুফতি আজিজুর রহমানের দাবি এটি তার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি পাকিস্তানের।

সুতরাং, ২০২১ সালের জুন মাসে পাকিস্তানের লাহোরে এক মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক তার শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ও ইসলামী ছাত্রশিবির নেতার অন্তরঙ্গ অবস্থার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

পারিবারিক কলহের ভিডিও চাঁদা না দেওয়ায় ভবন মালিকের ওপর জামায়াত ক্যাডারের হামলার দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি, কক্সবাজারের রামুতে চাঁদা না দেওয়ায় জামায়াত ক্যাডার বাড়ির মালিককে বিল্ডিং থেকে ফেলে দিয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু দাবি দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

এক্সে প্রচারিত দাবি দেখুন: এখানে

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি চাঁদা না দেওয়ায় জামায়াত ক্যাডার কর্তৃক বাড়ির মালিককে ভবন থেকে ফেলে দেওয়ার কোনো ঘটনার নয়। বরং, এটি চলতি বছরের মার্চে কক্সবাজারের রামুতে জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাতিজা শাওন বড়ুয়া তার চাচা রনোতোষ বড়ুয়াকে ধাক্কা দিয়ে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার ভিডিও।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে এটিএন নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে গত ৯ মার্চ প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেখানে জানানো হয়, রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের উত্তর শ্রীকুল এলাকায় সন্তোষ বড়ুয়া ও তার সৎভাই রনোতোষ বড়ুয়ার মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের একপর্যায়ে ৮ মার্চ সকালে সন্তোষ বড়ুয়ার জাপানপ্রবাসী ছেলে শাওন বড়ুয়া তার চাচা রনোতোষ বড়ুয়াকে ধাক্কা দিয়ে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। এতে রনোতোষ বড়ুয়া গুরুতর আহত হন। এটিএন নিউজের প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner.

একই বিষয়ে কক্সবাজারভিত্তিক দ্য টেরিটোরিয়াল নিউজ (টিটিএন)-এর ফেসবুক পেজে ৯ মার্চ প্রকাশিত আরেকটি ভিডিও প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী রনোতোষ বড়ুয়া, তার স্ত্রী এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার দেখানো হয়। কেউই ঘটনাটির সঙ্গে কোনো জামায়াত ক্যাডারের সম্পৃক্ততার কথা বলেননি। বরং, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এটি একটি পারিবারিক বিরোধের ঘটনা।

রামুর স্থানীয় গণমাধ্যম ‘রামু খবর ২৪’-এর ফেসবুক পেজেও একই দিন এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।

সুতরাং, জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের একটি ভিডিওকে চাঁদা না দেওয়ায় জামায়াত ক্যাডার বাড়ির মালিককে ফেলে দিয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র