সম্প্রতি “গরিবের গাড়ি ভাঙ্গার খেলায় মেতেছে!!!লকডাউনে গাড়ি বের করার শাস্তি দেখে অবাক জনগণ।” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় সিএনজি অটোরিক্সা ভেঙে ফেলার ভাইরাল ভিডিওটি বর্তমান সময়ের নয় বরং তিন বছর পুরোনো।
মূলত গত ০১ এপ্রিল ২০১৮ সালে ১৫ বছরের অধিক পুরোনো মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রায় সাড়ে আট হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা তুলে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করার কাজ শুরু করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বিআরটিএ এর কার্যালয়ে সিএনজি অটোরিক্সা ভেঙে ফেলার এই ভিডিওর অস্তিত্ব একাধিক গণমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। All Around Me নামক চ্যানেল থেকে CNG Auto Rickshaw Destroying in BRTA office Dhaka Bangladesh part 2 শিরোনামে এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়।
১৯ এপ্রিল ২০১৮ সালে Channel 24 এর “ভেঙে ফেলা হচ্ছে মেয়াদোর্ত্তীন আট হাজার সিএনজি অটোরিকশা” শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদন দেখুন নিচে
২১ এপ্রিল ২০১৮ সালে প্রকাশিত মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
অর্থাৎ, মেয়াদ উত্তীর্ণ সিএনজি অটো রিক্সা ধ্বংস করার পুরোনো ভিডিওকে বর্তমান লকডাউনে গাড়ি বের করার শাস্তি দাবীতে স্ট্রিমিং সফটওয়্যারের সাহায্যে ‘লাইভ ভিডিও’ হিসেবে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং, লকডাউনে গাড়ি বের করার শাস্তি শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ভিডিওটি পুরোনো ও বিভ্রান্তিকর।
[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]
- Claim Review: লকডাউনে গাড়ি বের করার শাস্তি দেখে অবাক জনগণ
- Claimed By: Facebook Posts
- Fact Check: Misleading
[/su_box]