সম্প্রতি “এইমাত্র পুলিশ ও জামাত-শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ সরাসরি দেখুন শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে
ভিডিওগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ,এবং এখানে
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সঠিক নয় বরং এটি ২০২০ সালের নভেম্বরে ঢাকায় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ভাস্কর্য বিরোধী বিক্ষোভের সময়ের৷
অনুসান্ধানে মাধ্যমে ইংরেজি দৈনিক New Age এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বরে “Police disperse anti-sculpture rally” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

এই ভিডিওটির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে নিউ এইজের ভিডিওটির সূত্র ধরে দেশীয় একাধিক গণমাধ্যমে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বরে ঢাকায় ভাস্কর্য বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে, দেশীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বরে ঢাকায় ভাস্কর্য বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়, দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

মূলত, ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভাস্কর্য বিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নয়াপল্টনের নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে কাকরাইলের কর্ণফুলী মার্কেটের সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাতে বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। ঐ সংঘর্ষ চলাকালে ধারণকৃত একটি ভিডিওই বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে গ্রেফতারের ঘটনায় বর্তমানে ভুয়া লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপের সহায়তায় পুলিশ ও জামায়েত শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রিউমর স্ক্যানার টিম পূর্বেও বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ এবং পেজ হতে ভুয়া লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপের সহায়তায় প্রচারিত ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।