গতকাল (০৪ অক্টোবর) নরসিংদীতে চাঁদা তোলার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন দুইজনকে আটক করেন। পরবর্তীতে আটককৃত দুই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা এবং আনোয়ার হোসেনকে মারধর করে।
এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনকে মারধরের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
একই ভিডিও যুবক কর্তৃক ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের দৃশ্য দাবিতেও প্রচার হতে দেখা যায়। দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)৷
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনকে কিংবা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত ১৭ আগস্ট মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর টোল প্লাজায় মিনহাজ উদ্দিন নামের এক যুবক টোল প্লাজার সিকিউরিটি গার্ড আব্দুল হাসেমকে মারধর করেন। সেই ঘটনার দৃশ্য এটি।
অনুসন্ধানে গত ১৮ আগস্ট কালবেলার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

কালবেলার ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়েছে, মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর টোল প্লাজায় সিকিউরিটি গার্ডকে এক যুবক প্রকাশ্যে পেটান। সেই ঘটনার দৃশ্য এটি।
উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে কালবেলা এবং রাইজিং বিডির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট মোটরসাইকেলের টোল নিয়ে মুন্সীগঞ্জ ষষ্ঠ বাংলাদেশ চীন মৈত্রী (মুক্তারপুর সেতু) সেতুর টোল প্লাজায় মিনহাজ উদ্দিন নামের এক যুবক টোল প্লাজার সিকিউরিটি গার্ড আব্দুল হাসেমকে মারধর করেন। উক্ত ঘটনায় ১৮ আগস্ট ভুক্তভোগী আব্দুল হাসেম বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনকে মারধরের ঘটনার নয়।
সুতরাং, গত ১৭ আগস্ট মুন্সিগঞ্জে এক যুবক কর্তৃক সেতুর টোল প্লাজার সিকিউরিটি গার্ডকে মারধরের দৃশ্যকে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনকে মারধরের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।