গতকাল ০৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু)। আজ সকালে প্রকাশিত হয়েছে চূড়ান্ত ফলাফল। এর প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিপি ও জিএস পদের প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের বিভিন্ন সংখ্যা প্রচার হতে দেখা গেছে।

প্রতিরোধ পর্ষদের ভিপি প্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি ১১ ভোট পেয়েছেন এমন দাবিতে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
একই দাবিতে আমার দেশের ওয়েবসাইটে দেওয়া আপডেট দেখুন এখানে।
একই আপডেটে দাবি করা হয়েছে, ভিপি পদে আবিদুল ইসলাম ৫৬৫৮, আব্দুল কাদের ৬৬৮, উমামা ফাতেমা ২১০০, শামীম হোসেন ১৮১৫ ভোট এবং জিএস পদে বাকের মজুমদার ৮৪৫, সাদী ভুঁইয়া ৪৬, মেঘমল্লার বসু ৪০৫৮, আরাফাত চৌধুরী ১১১৯ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ফেস দ্যা পিপল দাবি করেছে, ভিপি পদে আবিদুল ইসলাম ৫৬৫৮, উমামা ফাতেমা ২৫৪৯, শামীম হোসেন ২৩৮৫, আব্দুল কাদের ৬৬৮ এবং তাসনিম ইমি ১১ ভোট পেয়েছেন।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইমি ১১ নয়, পেয়েছেন ৬৮ ভোট। তাছাড়া, ভিপি ও জিএস পদের অন্যান্য প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের যে সংখ্যা প্রচার করা হচ্ছে তাও সঠিক নয়।
বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে আজ (১০ সেপ্টেম্বর) সকালের এক পোস্টে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের পুরো তালিকার সন্ধান মেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এই তালিকায় দেখা যায়, ভিপি পদে আবিদুল ইসলাম ৫৭০৮, আব্দুল কাদের ১১০৩, তাসনিম ইমি ৬৮, উমামা ফাতেমা ৩৩৮৯, শামীম হোসেন ৩৮৮৩ ভোট এবং জিএস পদে বাকের মজুমদার ২১৩১, সাদী ভুঁইয়া ২৭১, মেঘমল্লার বসু ৪৯৪৯, আরাফাত চৌধুরী ৪০৪৪ ভোট পেয়েছেন।
ঢাবি কর্তৃপক্ষ থেকে সরবরাহকৃত ফলাফলের ড্রাইভ ফাইল থেকেও একই তথ্য জানা যাচ্ছে।
অর্থাৎ, কতিপয় গণমাধ্যমে কিছু প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা কমিয়ে প্রচার করা হয়েছে। তবে একই পোস্ট বা আপডেটে কিছু প্রার্থীর যেমন, তানভীর হামিম (৫২৮৩), সাদিক কায়েম (১৪০৪২), এস এম ফরহাদ (১০৭৯৪) প্রাপ্ত ভোটের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে।
সুতরাং, ডাকসু নির্বাচনে ভিপি-জিএস পদে একাধিক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- The University of Dhaka: Facebook Post