তৌহিদ আফ্রিদির পুরোনো ভিডিওকে সম্প্রতি তার বাবার গ্রেফতারের পর কান্নার দৃশ্য দাবিতে প্রচার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও আন্দোলনকারীদের হত্যার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান ও আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বাবা মো. নাসির উদ্দিন সাথী গ্রেফতার হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে ‘বাবাকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় তৌহিদ আফ্রিদি কাঁদছে’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

এই প্রতিবেদন লেখা অবধি আলোচিত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটি ৮০ লক্ষ বারের বেশি দেখা হয়েছে এবং প্রায় ২৪ হাজার জন এতে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। 

এছাড়া অনুরূপ দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে এবং এখানে। 

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে এবং এখানে। 

টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনসুন্ধানে জানা যায়, মাইটিভির চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন সাথী গ্রেফতার হওয়ার পর তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি কান্নাকাটি করে কোনো ভিডিও বার্তা দেননি। প্রকৃতপক্ষে, এটি ২০২২ সালে তৌহিদ আফ্রিদির করা একটি লাইভ ভিডিও ফুটেজের অংশ।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটির বেশকিছু কী-ফ্রেম রিভার্স সার্চের মাধ্যমে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রিয়ারি তারিখে ‘Laika’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি লাইভ ভিডিওর সন্ধান পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির ৭ মিনিট সময় হতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল রয়েছে।

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণে জানা যায়, ‘লাইকা’ ছিল তাদের বাসায় পালিত একটি কুকুর। সেসময়ে কুকুরটির অসুস্থতা এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি লাইভ ভিডিও প্রচার করেন তৌহিদ আফ্রিদি। 

এছাড়া, মো. নাসির উদ্দিন সাথী গ্রেফতার হওয়ার পরে তৌহিদ আফ্রিদির এরূপ কোনো ভিডিও প্রকাশ করলে দেশিয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হতো। তবে, গণমাধ্যমে এমন কোনো সংবাদ দেখা যায়নি। 

উল্লেখ্য, গতকাল ২৪ আগস্ট কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে বরিশাল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সুতরাং, মো. নাসির উদ্দিন সাথী গ্রেফতার হওয়ার পর তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি কান্নাকাটি করছেন দাবিতে ২০২২ সালের একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img