সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন কিশোরীর ধারণকৃত একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “রাজধানীতে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর,এসিড নিক্ষেপ❗ছাত্রীর পিঠ ও বুক পুড়ে গেছে।”

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটিতে প্রদর্শিত কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ এবং এর পরবর্তীতে এসিড নিক্ষেপ করা হয়নি বরং, তাকে তার মামাবাড়িতে মামা-মামিরা নানাভাবে নির্যাতন করেছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চে ‘Cat world’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ৮ মার্চে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

ভিডিওটি সম্পর্কে ক্যাপশনে বলা হয়, “মামার বাড়ি কবিতার মতো বাস্তব কাহিনি.. “মামি আইলো লাঠি নিয়া পালাই পালাই”..কিন্তু রোজিনা পালাতে পারে নি.. দা*, প্লেট, গরম খুনতি, পুতারও বাদ যাই নি পায়ের আঙুল থেতলে দাওয়ার জন্য..”।
এছাড়া আলোচ্য বিষয়ে মূলধারার গণমাধ্যম আরটিভি ও সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও উক্ত কিশোরী মামা-মামি কর্তৃক নির্যাতনের শিকার বলে উল্লেখ রয়েছে, সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের কোনো বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে ‘বিবস্ত্র নারী- উলঙ্গ দেশ, এ কেমন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই তরুণীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়। সে সময়ে বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।