চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাম্প্রতিক বন্যার নয়, এসব ছবি ভারতের উত্তর প্রদেশের বন্যার পরিস্থিতির 

টানা বৃষ্টি আর ফারাক্কা বাঁধের কিছু গেট খুলে দেওয়ায় উজান থেকে ঢল নামার ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সম্প্রতি বন্যা দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর পানি বেড়ে এতে জেলা সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

এরই প্রেক্ষিতে ‘রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারায়নপুর এলাকায় এভাবে নদীগর্ভে বিলিন বাড়ি-ঘর…’ ক্যাপশনে একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির দৃশ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভারতের উত্তর প্রদেশের সাম্প্রতিক বন্যার ছবিকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজের উত্তর প্রদেশ-উত্তরাখণ্ডের আঞ্চলিক ইউটিউব চ্যানেলে গত ০৩ আগস্ট প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর দৃশ্যাবলীর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির বিবরণী থেকে জানা যায়, ভিডিওতে যুক্ত এসব ফুটেজে ভারতের উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির চিত্র ধারণ করা হয়েছে। প্রবল নদী ভাঙনের ফলে বালিয়া জেলার অনেক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভিডিওর ঘটনাটি বালিয়া জেলার ‘চকিয়া নৌরঙ্গা’ গ্রামের।

পরবর্তীতে, আরেক ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটিনের উত্তর প্রদেশ-উত্তরাখণ্ডের আঞ্চলিক ইউটিউব চ্যানেলে গত ০২ আগস্ট প্রকাশিত একটি রীলে একই দৃশ্য ও তথ্য পাওয়া যায়৷ 

উল্লেখ্য, আগস্ট মাসের শুরুর দিকে অতিবৃষ্টির কারণে ভারতের উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। বন্যাকবলিত হয় উত্তর প্রদেশের বালিয়া, কানপুর নগর, লখিমপুর খেরি, আগ্রা, গাজীপুর, মির্জাপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলা। 

সুতরাং, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির ছবি দাবিতে ভারতের উত্তর প্রদেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img