সম্প্রতি, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রধানমন্ত্রীদের কথিত এক তালিকায় ১৭৩ জন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
একই দাবিতে ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
টিকটকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রধানমন্ত্রীদের কথিত এক তালিকায় ১৭৩ জন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শেখ হাসিনার তৃতীয় অবস্থানে থাকার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৭ সালে অনলাইন নিউজ পোর্টাল Bangla Insider-এ ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ নামের এক ভিত্তিহীন প্রতিষ্ঠানের বরাতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের পর থেকে আলোচিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়ে আসছে।
মূলত, ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর ‘শেখ হাসিনা বিশ্বের ৩য় সৎ সরকার প্রধান’ শীর্ষক শিরোনামে বাংলা ইনসাইডার নামক একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বরাতে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে সৎ পাঁচজন সরকার প্রধানের তালিকায় বাংলাদেশের ততকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় স্থানে আছেন। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, পিপলস অ্যান্ড পরিটিক্স ১৭৩ টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পেয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ নামে কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। একটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন প্রতিষ্ঠানের সূত্রে বাংলা ইনসাইডার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্যটি প্রচার হয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিটি ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় তথ্যটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।