শনিবার, মে 24, 2025

শরীয়তপুরে মুসলিম নারীর মৃতদেহকে হিন্দু দাবিতে অপপ্রচার

সম্প্রতি, বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায় হিজাব ও বোরকা না পরায় এক নারীকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

উক্ত দাবিতে এক্সের পোস্ট দেখুন এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায় হিজাব ও বোরকা না পরায় এক নারীকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং, প্রচারিত ভিডিওতে থাকা নারী মুসলিম এবং তার নাম মোছাঃ কাকলি আক্তার। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে উক্ত নারী আত্মহত্যা করেছেন।

অনুসন্ধানে জাজিরা টাইমস নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ২৭ জানুয়ারি প্রচারিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডে থাকা ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির মিল রয়েছে। 

Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত ফটোকার্ড এবং পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, পদ্মাসেতুর দক্ষিণ থানার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কাকলি আক্তার উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের হাজী জাহেদ আলী মাদবর কান্দি গ্রামের জুলহাস মাদবরের মেয়ে।

প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

পরবর্তীতে দৈনিক দেশেরপত্র নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে গত ২৭ জানুয়ারি “শরীয়তপুরে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবতীর মরদেহ উদ্ধার” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৭ জানুয়ারি সকালে শরীয়তপুরের পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানাধীন পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত কাকলি আক্তার শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের হাজী জাহেদ আলী মাদবর কান্দি গ্রামের জুলহাস মাদবরের মেয়ে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণে কাকলি আক্তার আত্মহত্যা করেছেন।

প্রতিবেদনে পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। প্রাথমিক সুরতহালে তেমন কিছু বোঝা যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।

পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার। তিনি বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি নিহত হওয়া এই ব্যক্তি মুসলিম। মেয়েটির নাম মোছাঃ কাকলি আক্তার। ডাক নাম মুন্নি। বয়স ১৬ বছর৷ বাবার নাম জুলহাস মাদবর। 

এছাড়া, আলোচিত দাবিটি প্রোপাগান্ডা বলেও দাবি করেন তিনি। 

সুতরাং, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় নিহত মুসলিম নারীকে হিন্দু দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img