শিবির যাদের রগ কেটেছে, তারা কেউ ঈমানদার ছিল না শীর্ষক মন্তব্য করেননি ঢাবি ছাত্রশিবির সভাপতি

গতকাল (০২ অক্টোবর) ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের ১৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ্যে এসেছে। এর দুই সপ্তাহ আগে সভাপতি মো. আবু সাদিক কায়েম ও সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছেন।

এরইমধ্যে, “শিবির এপর্যন্ত যাদের রগ কেটেছে, তারা কেউ ঈমানদার ছিলোনা” শীর্ষক মন্তব্যটি ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আবু সাদিক কায়েম দাবিতে প্রথম আলোর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘শিবির এপর্যন্ত যাদের রগ কেটেছে, তারা কেউ ঈমানদার ছিলোনা’- ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম শীর্ষক শিরোনামে প্রথম আলো কিংবা অন্য কোনো গণমাধ্যম ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি এবং সাদিক কায়েমও এমন কোনো মন্তব্য  করেননি বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই বানোয়াট এই মন্তব্য ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির নামে প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে প্রথম আলোর লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ উল্লেখ করা হয়েছে। 

Screenshot: Facebook 

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রথম আলোর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, প্রথম আলো’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে, আজ (০৩ অক্টোবর) প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে উক্ত ফটোকার্ডটি ভুয়া উল্লেখ করে প্রচারিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। 

Screenshot: Prothom Alo Facebook Post 

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রেও আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমের ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ‘শিবির এপর্যন্ত যাদের রগ কেটেছে, তারা কেউ ঈমানদার ছিলোনা’- শীর্ষক মন্তব্যটি ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি করেছেন মর্মে প্রথম আলোর নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img