সম্প্রতি, ‘‘গণবিবাহের নামে ঘনঘন লাভ জিহাদ।প্রথম দুদিনেই শিবিরের নেতাদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হলেন ৩৬৯ জন সনাতনী মেয়ে। জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ’’ শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলো’র ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘গণবিবাহের নামে ঘনঘন লাভ জিহাদ। প্রথম দুদিনেই শিবিরের নেতাদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হলেন ৩৬৯ জন সনাতনী মেয়ে। জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রথম আলো বা অন্য কোনো গণমাধ্যম কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি বরং, প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে প্রথম আলোর লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রথম আলোর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, প্রথম আলো’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে প্রথম আলোর পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডের গ্রাফিক্যাল ডিজাইনের মিল থাকলেও আলোচিত ফটোকার্ডের শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে প্রথম আলো’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ফন্টের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
এছাড়াও, মূলধারার গণমাধ্যম বা বিশ্বস্ত অন্য কোনো সূত্রেও গণবিবাহ বা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সম্পর্কে এমন কোনো তথ্য বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, ‘গণবিবাহের নামে ঘনঘন লাভ জিহাদ।প্রথম দুদিনেই শিবিরের নেতাদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হলেন ৩৬৯ জন সনাতনী মেয়ে। জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রথম আলো’র নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।
তথ্যসূত্র
- Rumor Scanner’s Own Analysis