
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নতুন ভূমি আইন পাস ও ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয় বরং ভূমি আইন নামে কোনো আইন এখন পর্যন্ত সংসদে প্রণয়ন করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
অনুসন্ধানের মাধ্যমে, বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ‘ভূমি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ-Ministry of Land, Bangladesh’ এ গত ২২ জানুয়ারি ‘ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল সেবা প্রবর্তনের পাশাপাশি আইন ও বিধি-বিধান সংশোধন করে, এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নতুন আইনের খসড়া করে টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা স্থাপনে জোর দিচ্ছে।’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত সতর্কতামূলক গণবিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
গণবিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে, ‘ভূমি আইন পাস হয়েছে, ১০ই জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে মর্মে একটি ভুয়া খবর/গুজব সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে/ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে যা ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ পর্যালোচনার সময় নজরে আসে। এই ধরণের ভুয়া খবর/গুজব জনমনেবিরূপ প্রভাব ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে- যা মোটেই কাম্য নয়।’

তাছাড়া, সম্প্রতি ‘ভূমি আইন’ নামের কোনো আইন পাশ হওয়া সংক্রান্ত কোনো সংবাদ বিশ্বস্ত কোনো গণমাধ্যম কিংবা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মূলত, ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল সেবা প্রবর্তনের পাশাপাশি আইন ও বিধি-বিধান সংশোধন ও নতুন আইনের খসড়া তৈরি করছে৷ এরই ধারাবাহিকতায় আইন কমিশন ‘ভূমি আইন, ২০২২ (ধারনা পত্র, খসড়া আইন ও সুপারিশ)’ নামক একটি খসড়া সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। যেটি এখনো প্রণয়ন না হলেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ভূমি আইন পাস হয়েছে, ১০ই জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।’ শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে গুজব হিসেবে উল্লেখ করে তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জানায়, ‘ভূমি আইন’ নামে কোনো আইন জাতীয় সংসদে এখন পর্যন্ত প্রণয়ন করা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসেও ‘ভূমি আইন পাস হয়েছে’ শীর্ষক একই দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, সেসময় বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।