সম্প্রতি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দাবিতে মূলধারার গণমাধ্যম যমুনা টিভির লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ড দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।
একই দাবির টিকটক পোস্ট দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘আইভির পর একই দিনে জামিনে মুক্তি পেলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক’ শিরোনামে যমুনা টিভি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি এবং পলক বা আইভী কেউই জামিনে মুক্তি পাননি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে গণমাধ্যমটির ডিজাইন নকল করে ভুয়া দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে যমুনা টিভির লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ উল্লেখ রয়েছে। উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে যমুনা টিভির ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি দেশের অন্য গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো তথ্য মেলেনি।
এছাড়া, পর্যবেক্ষণে আলোচিত দাবির ফটোকার্ডটির ফন্টের সাথে যমুনা টিভির প্রচলিত ফটোকার্ডের কালার এবং ফন্টের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।

অর্থাৎ, যমুনা টিভির ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
তাছাড়া, যমুনা টিভিও এক ফেসবুক পোস্টে আলোচিত ফটোকার্ডটি ভুয়া বলে জানিয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুনাইদ আহমেদ পলক কারাগারেই রয়েছেন। প্রথম আলোর গত ২৭ আগস্টের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন আরেকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে পলককে।
তাছাড়া, সেলিনা হায়াৎ আইভীও কারাগারেই আছেন এখনও। বিষয়টি রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
সুতরাং, ‘আইভির পর একই দিনে জামিনে মুক্তি পেলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক’ শিরোনামে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।
তথ্যসূত্র
- Rumor Scanner’s own analysis