শেরপুরের চলমান বন্যার ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি ২০২৩ সালের ভিন্ন স্থানের

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ব্যাপক বৃষ্টির কারণে শেরপুরে কয়েকটি উপজেলা ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়ে পড়ায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এই বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর করুণ চিত্র তুলে ধরে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 

এরই প্রেক্ষিতে শেরপুরে চলমান বন্যার দৃশ্য দাবিতে গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)

উক্ত ছবি ব্যবহার করে শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ দেখুন- ইত্তেফাক, ইনকিলাব, গণমুক্তি, বাহান্ন নিউজ

ফ্যাক্টচেক

রিউরর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি শেরপুরের চলমান বন্যার নয় বরং, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ছবিটি ২০২৩ সালের। সেসময় টানা বৃষ্টি, উজান থেকে নামা ঢল এবং জোয়ারে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের আশপাশের জনপদ প্লাবিত হয়েছিল। এটি সেই সময়কার ছবি।

অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চের পদ্ধতি ব্যবহার করে মূলধারার সংবাদমাধ্যম  ‘The Business Standard’ এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ০৮ আগস্ট ‘টানা বৃষ্টি-উজানের ঢলে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা, বান্দরবান বিচ্ছিন্ন—খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ফিচার ইমেজ হিসেবে আলোচিত ছবিটি পাওয়া যায়। ছবির নিচে ক্যাপশনে ছবিটি উক্ত গণমাধ্যম কর্তৃকই ধারণকৃত বলে উল্লেখ করা হয়।

Photocard Comparison By Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সেসময়(২০২৩) টানা বৃষ্টি, উজান থেকে নামা ঢল এবং জোয়ারে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা হয়।

এছাড়া, সেসময় একই ঘটনায় অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা পোস্ট এর ওয়েবসাইটে ‘পানির নিচে বান্দরবান’ শীর্ষক শিরোনোমে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও আলোচিত ছবিটি পাওয়া যায়।

সুতরাং, ২০২৩ সালের ভিন্ন স্থানের বন্যার একটি ছবিকে শেরপুরের চলমান বন্যার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img