সম্প্রতি, “মেয়েটির নাম তামান্না! মৃত্যুর প্রায় ৭ বছর পর তার সৎ ভাই পুরোনো ডায়েরিতে দেখলো “আমাকে ক্ষমা করো মা,তোমার স্বামীর খারাপ স্পর্শের চেয়ে মৃত্যু ভালো। আহারে জীবন!” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, তামান্না নামের একটি মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রচারিত ঘটনাটি বাস্তব কোন ঘটনা নয় বরং এটি একটি কাল্পনিক গল্প যা বাস্তব হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে।
কিওয়ার্ড সার্চ করার মাধ্যমে ক্যাম্পাসিয়ান পরিবার নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে Mahedi Hasan নামের ফেসবুক আইডি হতে গত ১৭ মে প্রকাশিত মূল পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়।
Mahedi Hasan মূলত সেই গ্রুপের একজন মডারেটর এবং তিনি সেই লেখাটি পোস্ট করার মাধ্যমে গ্রুপে চলমান ‘বিশ শব্দের গল্প’ লেখা প্রতিযোগিতায় কিভাবে লিখে পোস্ট করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে তা বুঝিয়েছিলেন।
সেই পোস্টটিতে তিনি উল্লেখ করেন-
“বিশ শব্দের গল্প’ লিখা প্রতিযোগিতার মডেল:
#CP_Story_Writing_Contest
তামান্নার মৃত্যুর সাতবছর পর তার সৎভাই পুরনো ডায়েরিতে দেখলো,”আমাকে ক্ষমা করো মা,তোমার স্বামীর নোংরা স্পর্শের চেয়ে মৃত্যু ভালো।”
গল্প: অপমৃত্যু
লেখক: মেহেদি হাসান
বিঃদ্রঃ আপনারা কোনো ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না। আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে। “
অর্থাৎ ক্যাম্পাসিয়ান পরিবার নামের একটি গ্রুপের একজন মডারেট লেখাটি কাল্পনিক গল্প হিসেবে প্রথম পোস্ট করেছিলেন।
বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য সেই গ্রুপের মডারেটর ও পোস্টদাতা মেহেদি হাসানের সাথে রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে, তিনি লেখাটি তার নিজের লেখা গল্প এবং এটি একটি কাল্পনিক ঘটনা হিসেবে নিশ্চিত করেছেন।
রিউমর স্ক্যানারের থেকে যোগাযোগের পর ক্যাম্পাসিয়ান গ্রুপের একজন এডমিন তাদের ফেসবুক গ্রুপ এবং রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ এর অফিশিয়াল ফেসবুক গ্রুপে ছড়িয়ে পড়া ঘটনাটিকে একটি নিছক গল্প হিসেবে চিহ্নিত করে পোস্ট করেছেন।
মূলত, ক্যাম্পাসিয়ান পরিবার নামের সেই গ্রুপের একজন মডারেটর কর্তৃক বিশ শব্দের গল্প লেখা প্রতিযোগিতা নিয়ে সেই গ্রুপে পোস্ট করা একটি কাল্পনিক গল্পকেই বাস্তব ঘটনা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং, তামান্না নামের একটি মেয়ের মৃত্যুর কাল্পনিক গল্পকে বাস্তব ঘটনা হিসেবে প্রচার করার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব।
তথ্যসূত্র
- Conversation with Campasiun Group Moderator Mehedi Hasan
- Campusian FB Group: https://m.facebook.com/groups/120904661395984/permalink/2360673717419056/
- Campusian FB Group: https://www.facebook.com/groups/120904661395984/permalink/2365441250275636/%C2%A0