সম্প্রতি “মেট্রোরেলের গতি পরীক্ষা, ৭৩ কি.মি. মাত্র ৫ মিনিটে” শীর্ষক শিরোনামের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত ভিডিওটি মেট্রোরেলের গতি পরীক্ষার ভিডিও নয় বরং এটি Fermata Studio-এর তৈরি একটি ফিকশনাল ভিডিও।
কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, Fermata Studio নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল “[Simulation] Imaginary Supersonic Journey of an Rapid Service Train in Osaka Japan, 73km in 5 min” শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটি শুরুর প্রথম অংশেই নোটিশ আকারে লেখা রয়েছে, ‘এই ভিডিওটি একটি স্পিড সিমুলেশনের উপর ভিত্তি করে একটি কল্পকাহিনী। আসল ট্রেনের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।’
ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, ‘উদ্ভাবনী টাইম-ভেরিয়েন্ট হাইপারল্যাপস ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট আপনাকে এমন একটি বিশ্ব অনুভব করতে দেবে যা আজকের রেল প্রযুক্তিতে অসম্ভব। এর আসল গতি জিপিএস দ্বারা রেকর্ড করা হয়েছিলো এবং একই সময়ে ট্রেনের জানালা থেকে দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিলো। ভিডিওতে প্রদর্শিত গতি আসল গতির সাথে মিল রেখে করা হয়েছে।
যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, উক্ত ভিডিওটি Fermata Studio-র তৈরি একটি ফিকশনাল ভিডিও।
মূলত, Fermata Studio নামক ইউটিউব চ্যানেলে উক্ত ফিকশনাল ভিডিওটি সর্বপ্রথম পোস্ট করা হয়। এটি প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা ভিডিও যার সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই। তবে উক্ত ভিডিওটিকেই মেট্রোরেলের গতি পরীক্ষার ভিডিও দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ভিডিওটি জাপানের ১৩০০ কি.মি. বেগের বুলেট ট্রেনের দাবিতে প্রচারিত হয়েছে। সেসময় উক্ত বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি একটি ফিকশনাল ভিডিওকে বাংলাদেশের মেট্রোরেলের গতি পরীক্ষার ভিডিও দাবিতে প্রচারিত হচ্ছে; যা মিথ্যা।