নোয়াখালীতে নিহত মুসলিম তরুণীর মরদেহকে হিন্দু দাবি করে সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার

গত ২৬ সেপ্টেম্বরে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর উত্তর ফকিরপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে ঐ তরুণীকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী (সুৃমি রানী) দাবি করে কিছু পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নোয়াখালীতে ভাড়া বাসায় মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া এই তরুণী হিন্দু ধর্মাবলম্বী নয় এবং তার নাম সুমি রানীও নয়। প্রকৃতপক্ষে, ঐ তরুণীর নাম সাদিয়া ইসরাত ওরফে মিম এবং তিনি ইসলাম ধর্মাবলম্বী। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ঘটনার বিষয়ে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে গত ২৬ সেপ্টেম্বরে ‘ভালোবেসে বিয়ে করে এক মাস আগে ভাড়া বাসায় ওঠেন তরুণী, সেখানেই মিলল লাশ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot from Prothom Alo 

প্রতিবেদনটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, নোয়াখালীর মাইজদীর উত্তর ফকিরপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া নিহত তরুণীর নাম সাদিয়া ইসরাত ওরফে মিম। ২৪ বছর বয়সী এই তরুণীর বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। কিছুদিন পূর্বে ভালোবেসে লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ছাত্র দ্বীন মোহাম্মদকে বিয়ে করেন তিনি। পরিবারের অমতে দুজনের বিয়ের পর মাসখানেক আগে উত্তর ফকিরপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন দুজন। তবে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে ভাড়া বাসাটিতে ওই তরুণীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে বাড়িওয়ালা পুলিশকে খবর দেন।

এছাড়া আলোচ্য বিষয়ে দেশের একাধিক (এক, দুই) সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরেও নিহত তরুণীর পরিচয় সাদিয়া ইসরাত ওরফে মিম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিনি হাতিয়া পৌরসভার চরকৈলাশ গ্রামের মো. সাব্বির হোসেনের মেয়ে।

অর্থাৎ, নোয়াখালীতে উদ্ধার হওয়া নিহত এই তরুণী হিন্দু ধর্মাবলম্বী নন তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে। 

সুতরাং, নোয়াখালীর মাইজদীতে নিহত মুসলিম তরুণীকে হিন্দু সুমি রানী দাবি করে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img