গত ০৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম হেরে যান। পরবর্তীতে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যাতে মমতাজকে কান্না করতে দেখা যাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, নির্বাচনে হারার পর মমতাজের কান্নার দৃশ্য এটি।
উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন দেখুন দীপ্ত টিভি (ফেসবুক), এটিএন নিউজ (ইউটিউব)।
উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজসহ অন্যান্য অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
একই ক্লিপ ব্যবহার করে ইউটিউবের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
একই ক্লিপে টিকটকের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মমতাজ বেগমের কান্নার ভিডিওটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারার পরবর্তী সময়ের নয় বরং এটি গত ০৪ জানুয়ারি নির্বাচনী প্রচারণায়র সময়ের ঘটনা।
প্রচারিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘সাহসী কণ্ঠ নিউজ’ নামক ফেসবুক পেজে গত ৫ জানুয়ারি একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিও থেকে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিনে মমতাজ বেগম প্রচারণার সময় পিতা-মাতার কথা স্মরণ করে কান্না করেন।
পরবর্তীতে মমতাজ বেগম এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গত ০৪ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত মূল লাইভ ভিডিও থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
অর্থাৎ, এটি নির্বাচনের পূর্বের দৃশ্য।
মূলত, গত ০৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেছেন মমতাজ বেগম। তিনি হেরে যাওয়ার পর একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে যাতে দাবি করা হচ্ছে, হেরে গিয়ে তার কান্না করার দৃশ্য এটি। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় ভিডিওটি নির্বাচন পরবর্তী সময়ের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভিডিওটি গত ০৪ জানুয়ারি মমতাজ বেগমের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ের দৃশ্য।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে হারার পর মমতাজ বেগম গত ৯ জানুয়ারি বক্তব্য রাখেন এবং সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা জানান।
সুতরাং, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে মমতাজ বেগম হেরে কান্না করছেন দাবিতে নির্বাচনের পূর্বে প্রচারণায় গিয়ে তার কান্না করার ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- সাহসী কণ্ঠ নিউজ – Facebook Post
- Momotaz Begom – Facebook Live
- Rumor Scanner’s own analysis
