সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মুসলিম শিক্ষার্থীকে হিন্দু নারী ধর্ষণের পর হত্যা দাবিতে প্রচার 

সম্প্রতি, Bangladesh is increasingly unsafe for minorities as jihadist and Jamat-shibir terrorism persists. Everyday they attacking minor people,raping the minor girl and killing them. অর্থাৎ, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের জন্য পরিস্থিতি ক্রমাগত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। কারণ জিহাদী এবং জামাত-শিবির সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন তারা সংখ্যালঘু মানুষের উপর আক্রমণ করছে। ছোট মেয়েদের ধর্ষণ করেছে এবং তাদের হত্যা করছে। শীর্ষক দাবিতে এক নারীর ছবি যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

উক্ত দাবিতে এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এক নারীর ছবি যুক্ত করে জামায়াতে-শিবির কর্তৃক ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দাবিটি সঠিক নয় এবং ছবিতে থাকা নারী সংখ্যালঘুও নন বরং প্রচারিত ছবিতে থাকা নারী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এবং তিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বী।

অনুসন্ধানে সাতকানিয়ার মজলুম নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ০৪ এপ্রিল প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে থাকা ছবির সাথে আলোচিত পোস্টটিতে থাকা নারীর মিল রয়েছে। 

Image Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত পোস্ট থেকে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া বাইপাস এলাকায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশাতে থাকা এক নারী নিহত হয়েছেন। নিহত তরুণীর পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তাকে বড়তাকিয়া রেডিয়েন্স হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

পরবর্তীতে জাতীয় দৈনিক সমকালের ওয়েবসাইটে ০৫ এপ্রিল “মীরসরাইয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল এসএসসি পরীক্ষার্থীর” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত ছবির সাথেও আলোচিত পোস্টে থাকা নারীর মিল রয়েছে। 

Screenshot: Samakal Website 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাইপাসে দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় সাদিয়া ইয়াসমিন জুথি নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। গত ০৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে মীরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া ইউটার্ন এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাদিয়া ইয়াসমিন জুথি উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্ব পোলমোগড়া স্টেশন এলাকার রিপনের মেয়ে। তিনি স্থানীয় আবুল কাসেম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

অর্থাৎ, নিহত নারী জামায়াত-শিবির কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হননি এবং তাকে হত্যাও করা হয়নি। বরং তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এছাড়া, উক্ত নারী সংখ্যালঘু নন বরং তিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বী। 

সুতরাং, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মুসলিম নারীর ছবি ব্যবহার করে জামায়াত-শিবির কর্তৃক সংখ্যালঘু নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img