ইটভাটায় যুবক ও চিতাবাঘের লড়াইয়ের ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়, ভারতের 

সম্প্রতি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের লক্ষ্মীপুর জেলায় ইটভাটায় এক যুবক ও চিতাবাঘের লড়াইয়ের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এমন দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ইউটিউবে প্রচারিত একই দাবি দেখুন: এখানে, এখানে

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত দাবি দেখুন: এখানে, এখানে

এক্সে প্রচারিত দাবি দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চিতাবাঘ ও যুবকের লড়াইয়ের ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, বরং এটি ভারতের উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার গত ২৩ জুনের ভিডিও।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার ফেসবুক পেজে ২৫ জুন প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড পাওয়া যাত। ওই ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে আলোচিত ভিডিওর মিল দেখা যায়। ফটোকার্ডের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, লখিমপুর খেরিতে এক ব্যক্তি খালি হাতে একটি চিতাবাঘের সঙ্গে লড়েছেন।  

Comparison: Rumor Scanner.

এনডিটিভির ওয়েবসাইটেও এই ঘটনার ভিডিও পাওয়া যায়, যেখানে ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

দ্য ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত সোমবার (২৩ জুন) উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার একটি ইটভাটায় ৩৫ বছর বয়সী মিহিলালের ওপর একটি চিতাবাঘ হামলা করে। মিহিলাল ভাটায় কাজ করার সময় চিমনির ভেতরে লুকিয়ে থাকা চিতাবাঘটি তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তবে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে চিতাবাঘের মোকাবিলা করেন। আশপাশে থাকা গ্রামবাসীরা ইট-পাথর ছুড়ে চিতাবাঘটিকে তাড়িয়ে দেয় এবং এটি পাশের কলাবাগানে পালিয়ে যায়।

সুতরাং, ভারতের লখিমপুর খেরিতে যুবক ও চিতাবাঘের লড়াইয়ের একটি ভিডিওকে বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের ঘটনা দাবি করে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img