গর্ভবতী নারীদের সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত প্রচলিত বিধিনিষেধগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই  

সূর্যগ্রহণ বিষয়ে বহু বছর ধরেই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন কুসংস্কার, বিধিনিষেধ ও আচারের ব্যাপারে প্রচার হয়ে আসছে। বিশেষত সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীদের নানান বিধিনিষেধ পালন করতে বলা হয়। সাম্প্রতিক সময়েও একই রীতি পালনের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। 

যা দাবি করা হচ্ছে

গত ২৪ অক্টোবর ফেসবুকে ‘একাদশী বার্তা’ নামক গ্রুপে Sunil K. Nath নামক অ্যাকাউন্ট থেকে “বিশেষ সচেতনতামূলক পোস্ট” শিরোনামে (আর্কাইভ) প্রকাশিত একটি পোস্টে বলা হয়, “আগামী ২৫ শে অক্টোবর ২০২২ ইং, ৭ই কার্তিক ১৪২৯ সন, রোজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও ভারতে দৃশ্যমান এক “খণ্ডগ্রাস সূর্য” গ্রহণ। গ্রহণ সময় — দুপুর ০২ টা ৫৮ মিনিট (শুরু) থেকে সন্ধ্যা ০৭ টা ০১ মিনিট (সমাপ্তি) পর্যন্ত। স্থিতি কাল:- ০৪ ঘণ্টা ০৩ মিনিট [বাংলাদেশ সময়ানুযায়ী]। এ সময় গর্ভবতী মায়েরা খুব সাবধানে থাকবেন। দা, ছুরি, বটি দিয়ে কোন কিছু কাটতে যাবেন না। সূর্য গ্রহনের আলো গায়ে লাগতে দিবেন না। বেশিক্ষন শুয়ে থাকবেন না। সূর্য গ্রহণ চলাকালীন কোন রকম খাওয়া দাওয়া করবেন না।”

সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

একই দাবিতে ২০২১ সালে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্ট দেখুন এখানে
পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে

একই দাবিতে ২০২০ সালে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্ট দেখুন এখানে।
পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে

একই দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন Aajtak (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গর্ভবতী নারীদের সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত প্রচলিত বিধিনিষেধগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বরং বহু বছর ধরে উক্ত আচারের বিষয়গুলো ভিত্তিহীনভাবে প্রচার হয়ে আসছে। 

সূর্যগ্রহণ কী?

বিবিসি বাংলা বলছে, চাঁদ যখন পৃথিবীর কক্ষপথে ঘোরে, তখন তার প্রদক্ষিণ পথে কখনও কখনও চাঁদ এসে পড়ে সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝখানে। তখন তারা থেকে আলোর বিচ্ছুরণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং সূর্যের গ্রহণ ঘটে। সূর্যগ্রহণ হয় তিন ধরনের। আর এই ধরনগুলো নির্ভর করে চাঁদ সূর্যকে কতটা ঢেকে ফেলছে তার ওপর। যেমন, পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, বলয়গ্রাস গ্রহণ এবং মিশ্র গ্রহণ। 

Image Courtesy: BBC

মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ বলছে, সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ তখনই ঘটে যখন সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এমন অবস্থানে আসে যখন চাঁদ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়। 

বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের ক্ষেত্রে, চাঁদ যখন পৃথিবী থেকে দূরে থাকে এবং তাকে দেখতে “ছোট” মনে হয়, তখন ছোট চাঁদ বড় সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢাকতে পারে না। ফলে সূর্যের ঢাকা না পড়া বহিঃসীমাকে একটা বলয় বা আংটির মত দেখা যায়- মাঝখানে অন্ধকার আর চারপাশে থাকে আলোর বলয়। 

অন্যদিকে, যখন চাঁদ এমন একটা দূরত্বে আসে যেখান থেকে সে সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢেকে ফেলতে পারে। কিন্তু প্রদক্ষিণ পথে ক্রমশ চাঁদ পৃথিবী থেকে সামান্য সরে যায় এবং সূর্যকে পুরো ঢাকতে পারে না, ফলে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দিয়ে শুরু হলেও সেটা বলয়গ্রাস গ্রহণে রূপ নেয়।

দাবি ১ – সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী মায়েরা খুব সাবধানে থাকবেন 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘Times of India’ ২০২০ সালের ২০ জুন “Is Solar Eclipse safe for pregnant women? Surya Grahan Facts, myths and precautions” শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, “আমাদের ধর্মীয় এবং জ্যোতিষশাস্ত্রীয় বিশ্বাস বলে যে গ্রহনের এক্সপোজার গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ভাল নয়। যদিও এই দাবির পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।” 

প্রতিবেদনে বলা হয়, “গর্ভবতী মহিলার জন্য এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি জ্যোতিষশাস্ত্রের পরামর্শগুলো মেনে চললেও খুব বেশি সময় ধরে খাবার এবং পানি ছাড়া থাকা ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এতে বমি বমি ভাব এবং মাথাব্যথা হতে পারে। আপনি হাইড্রেটেড থাকতে ভুলবেন না এবং যদি আপনি কোন ধরনের অস্থিরতা অনুভব করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।”

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘USA TODAY’ জানিয়েছে, “গর্ভবতী মহিলাদের বা তাদের শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট কোন গ্রহন-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য উদ্বেগের প্রমাণ নেই।”

মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও গবেষক এড ক্রাপ-ও (Ed Krupp) এই দাবিকে অযৌক্তিক বলেছেন।  

দাবি ২ – গর্ভবতীদের সূর্যগ্রহণের সময় দা, ছুরি, বটি দিয়ে কোন কিছু কাটা নিষেধ 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম USA TODAY ২০১৭ সালের ১৮ আগস্ট “Pregnant during the eclipse? Superstitions say it could harm the baby” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, “ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র সতর্ক করে যে, সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীদের দা বা ধারালো কিছু দিয়ে ফল বা সবজি কাটা যাবে না। এতে করে অনাগত শিশুর ফাটল অঙ্গ তৈরি হতে পারে। কিন্তু এটি কোনো প্রমাণিত রীতি নয়।”

দাবি ৩ –  সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যগ্রহণের আলো গায়ে লাগতে দিবেন না

প্রচলিত রীতি অনুসারে, গর্ভবতী নারীদের সূর্যগ্রহণের সময় গ্রহণের আলো শরীরে না লাগার জন্য বাইরে বের হতে দেওয়া হয় না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘BBC NEWS বাংলা’ বলছে, “প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা ঘরের বাইরে বের হলে গর্ভের সন্তানের শরীরে বিশেষ ধরণের জন্মদাগ থাকতে পারে। এমনকি সন্তানের হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র থাকা বা বিকলঙ্গতা নিয়েও সন্তান জন্ম নিতে পারে। তাই, ‘সংস্কার’ আছে, সূর্যগ্রহণের সময়ে গর্ভবতী নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। এই ধারণাও বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে অনেক আগেই।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বলেন, গ্রহণের সময় সূর্য থেকে আলাদা কোনো ক্ষতিকর রশ্মি নিঃসরণ হয় না, কাজেই আলাদাভাবে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। 

দাবি ৪ –  সূর্যগ্রহণের সময় বেশিক্ষন শুয়ে থাকবেন না

ভারতসহ অনেক দেশেই সূর্যগ্রহণের সময় বেশিক্ষণ শোয়া বা ঘুমাতে নিষেধ করা হয়। একবার গ্রহন শেষ হয়ে গেলে, লোকেরা গোসল করে তারপর তাদের স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যায়। টাইমস অফ ইন্ডিয়া বলছে, “এটা বোঝা দরকার যে এগুলো ভারতীয় পুরাণে উল্লিখিত শুধুমাত্র ধারণা এবং এর কোনো স্বাস্থ্য উপকারিতা নাও থাকতে পারে।”

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘Republic World’ বলছে, “অনেক কিছুর মধ্যে, লোকেরা প্রায়শই ভাবতে থাকে যে তারা সূর্যগ্রহণের সময় ঘুমাতে পারে কিনা। যাইহোক, এটি একটি পৌরাণিক কাহিনী যা বলে যে সূর্যগ্রহণের সময় ঘুমানো উচিত নয়। একটি সমীক্ষা অনুসারে, সূর্যগ্রহণ দিনের বেলা অন্ধকার সৃষ্টি করে, যা ঘুমের ধরণকে প্রভাবিত করে। যদিও কারণটি মনস্তাত্ত্বিক নাকি শারীরিক তা উক্ত সমীক্ষা ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হলেও এর প্রভাব বেশ স্পষ্ট। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে সূর্যগ্রহণের সরাসরি কোনো শারীরিক প্রভাব নেই, তবে সূর্যগ্রহণের সময় অসংখ্য ঘটনা ঘটে। সুতরাং, সাধারণত, লোকেরা সেই সময়ে ঘুমিয়ে থাকা কাউকে ভ্রুকুটি করে। এরপরও, একটি বিশ্বাস রয়েছে যে গর্ভবতী মহিলাদের চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের সময় ঘুমানো উচিত নয় কারণ এটি অনাগত শিশুর ক্ষতি করতে পারে।” 

প্রতিবেদনে বলা হয়, “এ ধরনের বিবৃতি সমর্থন করে এমন কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। অন্যদিকে, পৌরাণিক কাহিনীর পিছনে কোন গবেষণা নেই যা অনিদ্রার সাথে সূর্যগ্রহণকে যুক্ত করে।”

দাবি ৫ – সূর্যগ্রহণ চলাকালীন সময় কোন রকম খাওয়া দাওয়া করবেন না

‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “লোককাহিনী অনুসারে, সূর্যগ্রহণের সময় রান্না করা এবং খাওয়া খারাপ, কারণ এটি বিশ্বাস করা হয় যে ক্ষতিকারক সৌর রশ্মি খাবারের ক্ষতি করে। মতাদর্শ সম্পর্কে মন্তব্য করে, নাসা বলে যে যদি এটি সঠিক হত, তবে রশ্মিগুলি কেবল রান্না করা খাবারই নয়, প্যাকেটজাত খাবার এবং ক্ষেতের ফসলেরও ক্ষতি করবে।”

নাসা বলছে, “সূর্যগ্রহণের সময় যদি কেউ ভুলবশত আলুর সালাদের মাধ্যমে খাবারে বিষক্রিয়ায় ভুগে, তবে কেউ কেউ যুক্তি দিতে পারে যে ঘটনাটি গ্রহণের সাথে সম্পর্কিত ছিল যদিও একই স্থানে থাকা অন্যান্য শত শত লোক মোটেও প্রভাবিত হয়নি।”

কী বলছে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি? 

গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত রীতির বিষয়ে জানতে চেয়ে বিশ্বের অন্যতম পুরানো এবং নির্ভরযোগ্য জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক সংস্থা ‘American Astronomical Society’ এর সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সংস্থাটির পক্ষ থেকে সংস্থাটির সাবেক প্রেস কর্মকর্তা এবং বর্তমানে নির্বাহী কর্মকর্তাদের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত Richard Tresch Fuenberg রিউমর স্ক্যানারকে জানান, “এসব দাবির (গর্ভবতীদের সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত রীতি) কোনোটিই সত্য নয়। কিছু সংস্কৃতিতে সূর্যগ্রহণের সময় কীভাবে আচরণ করতে হবে সে সম্পর্কে বিশেষ নিয়ম রয়েছে, তবে সেই নিয়মগুলো ধর্মীয় বা অন্যান্য ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে, বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে নয় যে নিষিদ্ধ আচরণগুলো ক্ষতির কারণ হতে পারে – কারণ এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।”

খালি চোখে দেখা যাবে সূর্যগ্রহণ?

নাসা খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে বিরত থাকতে উপদেশ দিয়েছে। সামান্য সময়ের জন্যও খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখলে চোখের ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান অবশ্য বলছেন, শুধু সূর্যগ্রহণের সময়ই নয়, স্বাভাবিক দিনেও সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয়। 

বিবিসি বাংলাকে এই অধ্যাপক জানিয়েছেন, “সূর্যগ্রহণের দিন মানুষ সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকায়, কারণ সেদিন সূর্যের প্রখরতা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক কম থাকে। তাই মানুষের অনেকক্ষণ যাবৎ তাকিয়ে থাকার সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকে – যেটি ক্ষতির কারণ হতে পারে। যে কোনো সাধারণ দিনে মানুষ সূর্যের দিকে কিছুক্ষণ তাকালেও চোখের ক্ষতি হবে। পার্থক্যটা হলো, সাধারণ দিনে মানুষ তাকায় না, সূর্যগ্রহণের সময় মানুষ তাকায়, তাই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়।”

মূলত, সূর্যগ্রহণকে ঘিরে বহুবছর ধরেই নানা ধরনের রীতি ও আচার মানার সংস্কৃতি রয়েছে। বিশেষ করে এ সময়ে গর্ভবতীদের নানা বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়। কিন্তু উক্ত রীতিগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি’র নির্বাহী কর্মকর্তাদের সিনিয়র উপদেষ্টা Richard Tresch Fuenberg রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন, উক্ত নিয়মগুলো ধর্মীয় বা অন্যান্য ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে পালিত হয়, বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে নয়। তাই এই রীতি না মানলে ক্ষতির কারণ হবে না। তাছাড়া, একাধিক নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও উক্ত রীতিগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে। 

সুতরাং, গর্ভবতী নারীদের সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত প্রচলিত বিধিনিষেধগুলো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়াই প্রচার হয়ে আসছে।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img