বাংলাদেশের দাবিতে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, “বাহুবালি মুভির শুটিং চলতিছে বাংলাদেশে” দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওতে একদল ব্যক্তিকে পুলিশের ব্যারিকেডে আক্রমণ করতে দেখা যায়। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পুলিশের সাথে সংঘর্ষের আলোচিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং, এটি ইন্দোনেশিয়ায় চলমান আন্দোলনের ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে, এতে ‘medantau.id’ লেখা একটি জলছাপ দেখা যায়। এই সূত্র ধরে একই নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ৩০ আগস্ট প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হয়, এটি গত ২৯ আগস্ট (ইন্দোনেশিয়ার) উত্তর সুমাত্রা ডিপিআরডি ভবনের সামনে এক বিক্ষোভের সময় জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারার ভিডিও। (অনূদিত)

এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান করে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে গত ৩০ আগস্ট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২৯ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর আগে ২৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় জাকার্তার পার্লামেন্টের কাছে আইন প্রণেতাদের বেতন ও শিক্ষা তহবিল সহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ করছিল। তখন সহিংস সংঘর্ষের সময় ২১ বছর বয়সী এক মোটরসাইকেল চালক আফান কুর্নিয়াওয়ান মারা যান। (অনূদিত)

সেসময় এ বিষয়ে অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও সংবাদ (,,)  প্রচার করে। 

অর্থাৎ, ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। 

উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার সরকার সংসদ সদস্যদের জন্য অতিরিক্ত ভাতা ঘোষণা করে। এই ভাতা রাজধানী জাকার্তার ন্যূনতম মজুরির প্রায় দশগুণের সমপরিমাণ। একই সাথে সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জনগণ রাস্তায় বিক্ষোভে নামে। এর মধ্যে পুলিশের গাড়ির চাপায় ২১ বছর বয়সী মোটরসাইকেল রাইড-শেয়ার চালক আফফান কুরনিয়াওয়ান নিহত হলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

সুতরাং, ইন্দোনেশিয়ার আন্দোলনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ভিডিওকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।  

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img