সম্প্রতি, “শেখ হাসিনা সরকারকেই আবারো ক্ষমতায় দেখতে চান এফবিসিসিআই সভাপতি” শিরোনামে একটি ভিডিও টিকটকে প্রচার করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন লেখা অবধি টিকটকে ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার বারেরও বেশি। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় ১ হাজার ৩ শত এর বেশি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে এবং ভিডিওটি ৩ হাজার ৭ শতবারেরও বেশি শেয়ার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চেয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতির বক্তব্যটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালের ১৫ জুলাই বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীদের করণীয়’ শীর্ষক সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতির দেওয়া পুরোনো এই বক্তব্য সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেশিয় মূলধারার ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম বাংলা ভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৫ জুলাই “শেখ হাসিনা সরকারকেই আবারো ক্ষমতায় দেখতে চান এফবিসিসিআই সভাপতি” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যের হুবহু মিল রয়েছে।

পরবর্তীতে, উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ১৬ জুলাইয়ে “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ১৫ জুলাই বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীদের করণীয়’ শীর্ষক সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তার স্বাগত বক্তব্যের শেষ দিকে বলেন, শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। তিনি ছাড়াও আরও ৩১ জন ব্যবসায়ী উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। তাঁদের বেশির ভাগ সরাসরি বলেছেন, আগামী মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে চান তাঁরা।
অর্থাৎ, এফবিসিসিআই সভাপতির দেয়া এই বক্তব্যটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে।
সুতরাং, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় দেখতে চান দাবিতে এফবিসিসিআই সভাপতির দেয়া একটি বক্তব্যের দৃশ্য সাম্প্রতিক সময়ের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।