সম্প্রতি “নতুন বাংলাদেশে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত আলোচিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে নববর্ষের দিনে কুপিয়ে জখম অথবা হত্যা করার নয়। বরং, ২০২১ সালে রাজধানীর পল্লবীতে রাস্তায় ফেলে ছেলের সামনে বাবাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার সময়ে ধারণ করা দৃশ্য।
অনুসন্ধানে দেশীয় মূলধারার ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ‘Channel 24’ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২১ সালের ২০ মে তারিখে ‘পল্লবীতে প্রকাশ্যে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে খুন’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিও’র সঙ্গে আলোচিত ভিডিওতে থাকা দৃশ্যের মিল রয়েছে।

উক্ত ক্যাপশন থেকে প্রাসঙ্গিক শব্দ নিয়ে কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে এ বিষয়ে উক্ত সময়ের একাধিক সংবাদ পাওয়া যায়। প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৬ মে বিকেল ৪টায় জায়গা-জমির বিরোধের বিষয়ে মীমাংসার কথা বলে ভিকটিম শাহীন উদ্দিনকে পল্লবী থানার ডি ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রকাশ্য দিবালকে লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা হয়। চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত এ হত্যা মামলায় তৎক্ষণাৎ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ। পাশাপাশি, গ্রেফতার দুইজনের মধ্যে একজন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বা মাস্টারমাইন্ড বলে প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ করা হয়।
উক্ত ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ দেখুন যুগান্তর, জাগো নিউজ২৪, কালেরকণ্ঠ।
সুতরাং, ২০২১ সালে ঢাকায় ছেলের সামনে বাবাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার সময়ে ধারণ করা দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ে নববর্ষের দিনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হচ্ছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Channel 24: পল্লবীতে প্রকাশ্যে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে খুন
- Jugantor: পল্লবীতে প্রকাশ্যে কোপানো সেই দুই যুবক গ্রেফতার
- Jagonews24: পল্লবীতে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা : মাস্টারমাইন্ডসহ গ্রেফতার ২
- Kalerkantho: পল্লবীতে ছেলের সামনে বাবাকে হত্যা: আরও এক আসামি গ্রেপ্তার
- Rumor Scanner’s analysis