সম্প্রতি “ঈগলের মাছ ধরার পূর্ব মুহুর্তে” শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রাণীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এটি ঈগলের ছবি নয় বরং এটি একটি অসপ্রে বা মাছমুরালের ক্রোনোফটোগ্রাফি।
রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, লিথুনিয়াভিত্তিক আর্ট, ডিজাইন এবং ফটোগ্রাফি বিষয়ক কমিউনিটি ‘Bored Panda’ এর ওয়েবসাইটে বছর দুয়েক আগে “Photographer’s Photos Of Ospreys In Hunting Mode Show How Calculated Everything In Nature Is” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
বোরড পান্ডা বলছে, “তাইওয়ানের ফটোগ্রাফার চেন চেংগুয়াং সাধারণত পাখির শৈল্পিক ছবি তোলেন। তার কিছু সেরা পাখির ফটোগ্রাফির কাজ তার ক্যামেরার লেন্স দিয়ে অস্প্রে’কে অমর করে তোলার সাথে জড়িত। বিশেষ করে তার ক্রোনোফটোগ্রাফ যেখানে অস্প্রে তাদের শিকারের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ার ছবিগুলো একাধিক ফ্রেমের মাধ্যমে তোলা হয় এবং তারপর একটি ছবিতে দেখানো হয়।”
বোরড পান্ডার তথ্যের সূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে চেন চেংগুয়াং এর অ্যাকাউন্টে ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
ছবিটির ক্যাপশনেও প্রাণীটিকে Osprey বলে উল্লেখ করা রয়েছে।
মূলত, তাইওয়ানের ফটোগ্রাফার এন্টার চেন চেংগুয়াং ২০১৯ সালে তার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাইন্টে তার তোলা অসপ্রে’র একটি ক্রোনোফটোগ্রাফ ছবি প্রকাশ করেন। সেই ছবি ব্যবহার করে প্রাণীটিকে ঈগল দাবি করে সম্প্রতি ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মাছমুরাল বা অসপ্রে দিবাচর শিকারি ও মাংসাশী পাখি। পাখিটি বিচরণের জন্য মূলত মাছসমৃদ্ধ জায়গাগুলোই বেছে নেয়। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) মাছমুরালকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশেও দেখা মেলে অসপ্রে’র। এছাড়া শীতে পরিযায়ী হিসেবেও এই পাখির আগমণ ঘটে এদেশে।
সুতরাং, অসপ্রে বা মাছমুরালের ছবিকে ঈগলের মাছ ধরার পূর্ব মুহূর্তের ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।