সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট আবিস্কৃত হয়েছে। করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৬ জন, মৃত ৫ জন।
উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, করোনায় গত ২১ মার্চ পাঁচজনের মৃত্যু হওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং সেদিন একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রচারিত পোস্টগুলোর কমেন্টে থাকা লিংকের সূত্রে মূল ধারার গণমাধ্যম ইউএনবির একটি সংবাদ পাওয়া যায়। গত ২২ মার্চ ‘দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ১৬’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
শনিবার (২২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
অনলাইন সংবাদমাধ্যম রাইজিং বিডির এক প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস রিলিজেও একই তথ্য দেওয়া হয়েছে৷
অর্থাৎ, করোনায় উক্ত দিনে কারো মৃত্যু হয়নি তা নিশ্চিত। তবে ইউএনবির সংবাদের শিরোনামটি ভুল। মূল প্রতিবেদনে ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে একজনের করোনা শনাক্তের কথা বলা হলেও শিরোনামে বলা হচ্ছে, শনাক্তই ১৬ জন।
সুতরাং, করোনায় গত ২১ মার্চ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
