তুরস্কে গত ০৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের ঘটনায় বিধ্বস্ত ভবনে আটকে পড়া শিশু দাবিতে একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিধ্বস্ত ভবনে আটকে পড়া শিশুর ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং এটি ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর তুরস্কের ভূমিকম্পের সময়কার ছবি।
গত ০৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়ায় বিধ্বংসী এক ভূমিকম্পে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর খবর আসে গণমাধ্যমে। তুরস্কের সাম্প্রতিক এই ভূমিকম্পের ঘটনায় বিধ্বস্ত ভবনে আটকে পড়া এক শিশুর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘CBS NEWS’ এর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ০৩ নভেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

ছবিটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, তুরস্কের ইজমিরের ভূমিকম্পের চারদিন পর বিধ্বস্ত একটি ভবন থেকে তিন বছরের আয়দা গেযজিনকে উদ্ধার করা হয় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর।
সিবিএস জানিয়েছে, ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর বিকেলে এজিয়ান সাগর থেকে তুরস্ক ও গ্রিসে আঘাত হানে শক্তিশালী এক ভূমিকম্প।
সে সময় একাধিক গণমাধ্যমে (independent uk, dawn) আলোচিত ছবিটি প্রকাশিত হয়।
অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনে আটকে পড়া শিশুর দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ছবিটি দুই বছরেরও বেশি সময়ের পুরনো।

মূলত, ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর তুরস্কে আঘাত হানে শক্তিশালী এক ভূমিকম্প। এ ঘটনায় একটি বিধ্বস্ত ভবন থেকে উদ্ধারকৃত এক শিশুর ছবিকে সাম্প্রতিক সময়ে (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনে আটকে পড়া শিশুর ছবি দাবি করে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পকে কেন্দ্র করে একাধিক গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, ২০২০ সালে তুরস্কের ভূমিকম্পের উদ্ধারকৃত এক শিশুর ছবিকে সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনে আটকে পড়া শিশুর ছবি দাবি করে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।