বন্যার্তদের সহযোগিতার দাবিতে আতিকাকে জড়িয়ে যমুনা টিভির ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

সম্প্রতি অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলার কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে “বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য এক কোটি টাকা দান করলেন ছাত্রলীগ নেত্রী আতিকা বিনতে হোসাইন ও তার পরিবার” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে বেসরকারি ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম যমুনা টেলিভিশন এর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

বন্যার্তদের

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসাইন ও তাঁর পরিবার বন্যার্তদের এক কোটি টাকা দান করলেন জানিয়ে মূলধারার ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম যমুনা টিভি বা অন্য কোনো গণমাধ্যম এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভির লোগো এবং এটি  প্রকাশের তারিখ হিসেবে ২৭ আগস্ট, ২০২৪ তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

Screenshot: Facebook

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে যমুনা টিভি‘র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও যমুনা টিভি’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে যমুনা টিভির পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডের গ্রাফিক্যাল ডিজাইনের মিল থাকলেও আলোচিত ফটোকার্ডের শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে যমুনা টিভির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রচারিত ফটোকার্ডের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

Photocard Comparison By Rumor Scanner

এছাড়াও, দেশের শীর্ষস্থানীয় কোনো গণমাধ্যমে আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য এক কোটি টাকা দান করলেন ছাত্রলীগ নেত্রী আতিকা বিনতে হোসাইন ও তার পরিবার’ শীর্ষক শিরোনামে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img