লালমনিরহাটে চীনের সহায়তায় বিমান ঘাঁটি তৈরির বিষয়টি ভুয়া

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল কিছু পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তায় চিকেন নেকের কাছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানঘাঁটি নির্মাণ করবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। 

এই দাবি সংক্রান্ত কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এই দাবির সাথে কিছু পোস্টে দাবিটির সূত্র হিসেবে বিমান বাহিনীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

বিমান বাহিনী সূত্র এবং চীনের সহায়তা সংক্রান্ত তথ্য ব্যতিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী চিকেন নেকের কাছাকাছি বিমান ঘাঁটি তৈরি করছে শীর্ষক দাবিতে ফেসবুকের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ভারতের গণমাধ্যমের সংবাদ দেখুন ক্যালকাটা নিউজ (ইউটিউব)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চিকেন নেকের কাছে চীনের সহায়তায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান ঘাঁটি তৈরির দাবিটি সঠিক নয় বরং বহুল আলোচিত লালমনিরহাটের এই বিমানবন্দরের কার্যক্রম ছয় দশকের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটি চালুর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে সাম্প্রতিক সময়ের পোস্টগুলোর সম্ভাব্য সূত্রপাত হিসেবে BDMilitary/BDOSINT নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা ৪৩ মিনিটে একই দাবির পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। এই পোস্টের কমেন্টে পেজের এডমিন দাবি করেন, “আজ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিকল্পনায় জানা গেছে, লালমনিরহাটে ৭০০ একর জমি নিয়ে একটি বিমানঘাঁটি গড়ে তোলা হবে। এটি ৭০টি যুদ্ধবিমানকে মিটমাট করতে সক্ষম হবে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। এয়ারবেসটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে – কমব্যাট অপস বিভাগ, একটি এমআরও বিভাগ এবং একটি মহাকাশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।” 

কাছাকাছি সময়ে ক্যান্টনমেন্টিয়ান Shitপোস্টিং নামে আরেকটি ফেসবুক পেজেও একই পোস্ট পাওয়া যায়। এই দাবির বিষয়ে পেজ এডমিন কমেন্টে লিখেন, “আজকে টাঙ্গাইলে বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণ মহড়ায়, এয়ার চিফের ব্রিফিং দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।”

Collage: Rumor Scanner 

এই দুই সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জানা যায়, ২৭ নভেম্বর টাঙ্গাইলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত আকাশ হতে ভূমিতে গোলাবর্ষণ মহড়া-২০২৪

(এক্সারসাইজ ফ্লাশ পয়েন্ট) প্রদর্শিত হয়। বিমান বাহিনীর ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত যে পোস্ট দেওয়া হয়েছে তা বিশ্লেষণ করে উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ পাওয়া যায়নি। এই মহড়ার বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেও উক্ত দাবি সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সেদিন মহড়ায় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যের সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিও বিশ্লেষণ করেও এই দাবির বিষয়ে তাকে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।

অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ে দাবিটির সূত্র হিসেবে টাঙ্গাইলের যে মহড়ার ঘটনার বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে সে মহড়া সংক্রান্ত ভিডিও ও সংবাদ বিশ্লেষণ করে উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো তথ্যই উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

তবে এই দাবিটি নতুন নয়। রিউমর স্ক্যানারের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, বিগত সময়ে প্রায়ই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়ে আসছে। গত ২২ নভেম্বর ইউটিউবে সমজাতীয় দাবির একটি ভিডিও চার লক্ষাধিকবার দেখা হয়েছে। যদিও এই ভিডিওতে চীনের সহায়তায় এই ঘাঁটি নির্মাণ হবে বা হচ্ছে সংক্রান্ত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

গত সেপ্টেম্বরে ফেসবুকের একটি পোস্টেও একই প্রসঙ্গ এসেছে। ভাইরাল হওয়া এই পোস্টে বলা হয়েছে, “ভারতের চিকেন নেকের কাছে ঠাকুরগাঁও বিমান বন্দর হওয়াতে এই ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর সংস্কারে অদৃশ্য বাধাঁ ছিল এতদিন। এই অদৃশ্য বাধাটি কি জানেন?এখানে যদি বিমানবন্দর হয়, Run Way হয় ভবিষ্যতে কোন কারণে যদি ভারত বাংলাদেশ দ্বন্দ্ব হয় তাহলে এখান থেকে যুদ্ধবিমান ভারতের শিলিগুড়ি কলিডোরে পৌঁছাতে তিন থেকে চার মিনিট সময় লাগবে। যার কারণে এখানে বিমানবন্দর বা বিমান ঘাঁটি সংস্কারে এতদিন ভারত বাধাঁ দিয়েছিল। বর্তমানে ২য় স্বাধীনতার পর ঠাকুরগাঁও এর বিমান বন্দর সংস্কার করা খুবই জরুরি।” (বানান অপরিবর্তিত)

Collage: Rumor Scanner 

ভারত-চীন সীমান্ত ঘিরে প্রায়ই আলোচনায় উঠে আসে শিলিগুড়ি করিডোর। এটিই চিকেন নেক হিসেবে পরিচিত। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত পশ্চিমবঙ্গের এই করিডোরটিকে ভারতের লাইফ লাইন বলা হয়ে থাকে। এই করিডোর হাতছাড়া হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশটির বাকি অংশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার ২০২১ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চীন চাচ্ছে এই করিডোরটি ভেঙে দিতে। ভারতও এ বিষয়ে সতর্ক, দ্বিগুণ নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। কৌশলগতভাবে ভারত এই অঞ্চলে বাগডোগরা ও হাসিমারায় দুটি বিমানঘাঁটি তৈরি করেছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, করিডোরের পূর্ব এবং পশ্চিম প্রান্তকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয়া। এই করিডোরের পশ্চিমে বাংলাদেশের অবস্থান।

ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা সে সময় জানায়, চিকেন নেক ইস্যুতে চীন এবং ভারত উভয় দেশই বাংলাদেশকে পাশে পাওয়ার জোরালো চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। 

এই চিকেন নেক থেকে ১৬০ কিলোমিটারের কিছু বেশি দূরত্বে লালমনিরহাটের আলোচিত বিমানবন্দরটির অবস্থান।

ইতিহাস বলছে, ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ সরকার নেপাল, ভুটান ও ভারতের অন্তত ১৩টি অঙ্গরাজ্যের যাতায়াত সুবিধার্থে লালমনিরহাটের সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ও হারাটি এলাকায় এক হাজার ১ শত ৬৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে বিমানঘাঁটি নির্মাণ শুরু করে। তখন বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রানওয়ে ও অবকাঠামোর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নতুন করে ব্যবহার হয়নি। ১৯৫৮ সালে স্বল্প পরিসরে বিমান সার্ভিস চালু হলেও তা বেশিদিন স্থায়ী ছিল না। এরপর থেকে এক প্রকার পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে এই বিমানবন্দর।

জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠের গত অক্টোবরের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পাঁচ যুগেরও বেশি সময় ধরে অবহেলা আর অযত্নে পড়ে আছে লালমনিরহাটের এই  বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের জমি কৃষিফার্ম আর রানওয়েতে ছাগল চড়ান স্থানীয়রা। 

জনকণ্ঠ বলছে, ২০১৯ সালে সেসময়ের বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত লালমনিরহাট বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসেন। এরপর বিমান বাহিনীর প্রকৌশলীদের সঙ্গে নিয়ে পুরো বিমানবন্দর ঘুরে দেখেন এবং এর সম্ভব্যতা যাচাই করে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়ে সভা করেন। এরপর 

২০২১ সালে তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও বিমান বাহিনী প্রধান, বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেন। কিন্তু এই বিমানবন্দর চালু হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পরবর্তী সময়ে বিমানবন্দরটি চালুর আশায় রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। 

২০১৯ সালের বিমানবন্দরের রানওয়ের উত্তর পাশের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড এ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর আগে সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংসদে এ সংক্রান্ত বিল পাশ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির লালমনিরহাটে স্থায়ী ক্যাম্পাস (এ বছরের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উক্ত ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে) এবং ঢাকার তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে ঢাকা ক্যাম্পাস রয়েছে। 

ডেইলি স্টার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ২০১৯ সালের আগস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, লালমনিরহাটের বিমানবন্দরটি সে বছরের ডিসেম্বরেই চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে পরবর্তীতে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির খবর মেলেনি।  

লালমনিরহাটের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সাপ্তাহিক আলোর মনি’র ওয়েবসাইটে ২০২০ সালে এই বিমানবন্দর নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। লালমনিরহাট বিমান বাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ভূটান সরকারেরও লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি ব্যবহারের জন্য পছন্দের তালিকায় ছিল। তবে আকাশসীমা নিয়ে জটিলতা থাকায় তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

আলোচিত দাবিগুলোর বিষয়ে জানতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এবং লালমনিরহাটের স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

আইএসপিআর রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক যে দাবি প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া। এর কোনো ভিত্তি নেই। 

আইএসপিআর বলছে, বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো আলোচনাও হয়নি। 

স্থানীয় সাংবাদিকরাও রিউমর স্ক্যানারকে একই তথ্য দিয়েছেন। মূল ধারার গণমাধ্যম চ্যানেল২৪ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি মাহফুজ বকুল রিউমর স্ক্যানারকে বলেছেন, বিমানবন্দর চালুর বিষয় নিয়ে নতুন করে কোন আলোচনা হয় নাই। এ বিষয়ে সাম্প্রতিক কোন তথ্য নাই।

মাহফুজ বলছিলেন, বিমানঘাঁটি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। কোনো কার্যক্রম নাই। অদুর ভবিষ্যতে এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য হয়তো কিছুটা রান হতে পারে। 

মাহফুজের ভাষ্য, এটি চালুর বিষয়ে প্রকাশ্যে ভারত কখনো বিরোধীতা করেনাই। তবে কুটনৈতিক ভাবে তারা চায় না এটি চালু হোক। এর আগে ভুটানের রাষ্ট্রদূত পরিদর্শনে এসে এটি দ্বিপক্ষীয় ভাবে চালুর কথা বলেছিলেন। তবে সেটি সেখানেই আটকে যায়। 

জাতীয় দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের স্থানীয় প্রতিনিধি দিলীপ রায় রিউমর স্ক্যানারকে বলছিলেন, “এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তই হয়নি। এটা গুজব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে। আদৌ এ ঘটনায় কোন নমুনা নেই। লালমনিরহাটের বিমান ঘাটিটি পরিত্যক্ত। এখানে বিমান বাহিনীর একটি ইউনিট আছে। এখানে সেনা বাহিনীর খামার আছে যেখানে দুগ্ধ উৎপন্ন করা হচ্ছে।”


স্থানীয় গণমাধ্যম আলোর মনি’র সম্পাদক মাসুদ রানা রাশেদ জানিয়েছেন, তারা সামাজিক মাধ্যম এবং ভারতের স্যাটেলাইট চ্যানেলের বরাতে দাবিটির বিষয়ে শুনেছেন।

মাসুদ বলেছেন, “এখানে বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সেনা বাহিনী কর্তৃক একটি লালমনিরহাট মিলিটারি ফার্ম রয়েছে। যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও লালমনিরহাট বিমান বাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট রয়েছে। পাশেই অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রমের অস্থায়ী ক্যাম্পাস রয়েছে। এছাড়াও এখানে যে জাতীয় মহা মহাসড়কটি ছিল তা এক পার্শ্বে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে বিমান ঘাঁটির পাশাপাশি ব্যাপক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় এডুকেশন ভিলেজে পরিণত হচ্ছে।” 

তার আশা, বিমান বন্দরটি চালু হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ, ভারত ও ভূটানের মধ্যে ত্রি-দেশীয় বাণিজ্য কেন্দ্র গড়ে উঠবে।

অর্থাৎ, ছয় দশকের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে লালমনিরহাটের বিমানবন্দরের কার্যক্রম, যা ভারতের চিকেন নেক থেকে ১৬০ কিলোমিটারের কিছু বেশি দূরত্বে অবস্থিত। বিগত সরকারের আমলে বেশ কয়েকবার এটি চালুর ব্যাপারে আশ্বাস পাওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। তবে বিমানবন্দর এলাকায় ২০১৯ সালে সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে চালু হয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড এ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের কার্যক্রম। সম্প্রতি চীনের সহায়তায় এই বিমানবন্দরে বিমান বাহিনী বিমানঘাঁটি চালু করবে বলে যে দাবি প্রচার হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া বলে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রমাণে যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার। 

সুতরাং, লালমনিরহাটের বিমানবন্দরে চীনের সহায়তায় বিমান বাহিনী বিমান ঘাঁটি তৈরি সংক্রান্ত ভাইরাল দাবিটি বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img