রবিবার, মে 25, 2025

ড. ইউনূস সম্পর্কিত এটিএন নিউজের এই প্রতিবেদনটি সাম্প্রতিক নয়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির

সম্প্রতি, ড. মুহাম্মদ ইউনূস জেলে যেতে পারেন; বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিশ্লেষণ – এই দাবিতে এটিএন বাংলার লোগোযুক্ত একটি ভিডিও প্রতিবেদনের ফুটেজ প্রচার করা হয়েছে।

ভিডিওটিতে উপস্থাপিকাকে বলতে দেখা যায়, জেলে যেতে পারেন ড. ইউনূস সম্প্রতি এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ড. ইউনূসকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন নোবেল জয়ীরা বিবৃতিও দিয়েছেন। খোলা চিঠি দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিছু দিন আগেও ড. ইউনূসকে নিয়ে বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘ, এবারে ইউনূসকে নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করলো জাতিসংঘ। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের মুখপাত্র মনিকা কী বার্তা দিলেন জানাচ্ছেন সহকর্মী মোহাম্মদ সোহাগ বিশ্বাস

অডিও কন্ঠে বলতে শোনা যায়, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের মুখপাত্র মনিকা গ্রেইল বলেছেন, আমরা প্র..

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ড. ইউনূস সম্পর্কিত প্রচারিত এই ভিডিও প্রতিবেদনটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারির ভিডিও প্রতিবেদনের ফুটেজ সংগ্রহ করে তা আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে এটিএন নিউজ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত ‘ড. ইউনূসকে নিয়ে আরো কঠোর বার্তা জাতিসংঘের | UN on Muhammad Yunus | Strong Message | ATN News’ শীর্ষক ক্যাপশনের একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির উপস্থাপিকার সংবাদ পড়ার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিও প্রতিবেদনটিতে উপস্থাপিকার কথা ছাড়াও মূল প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে অডিওতে শোনা যায়, “জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের মুখপাত্র মনিকা গ্রেইল বলেছেন, আমরা প্রফেসর ইউনূসের ইতিহাস জানি, তিনি কাজের মাধ্যমে যেসব অবদান রেখেছেন তাও জানি। প্রকৃতপক্ষে তিনি জাতিসংঘের খুব ভালো একজন বন্ধু। ড. ইউনূসকে নিয়ে চলমান বিষয়ের শেষ দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন ইস্যুতে আয়োজিত ব্রিফিং ও প্রশ্নোত্তর পর্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যা হচ্ছে, সে বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট কী অবগত রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ভিডিও প্রতিবেদনটিতে ড. ইউনূস ইস্যুতে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের মুখপাত্র মনিকা গ্রেইল, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এর  ভিডিও ফুটেজ দেখান।

অর্থাৎ, এই ভিডিও প্রতিবেদন থেকে ফুটেজ নিয়ে তা আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে যুগান্তর এর ওয়েবসাইটে প্রাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন ইস্যুতে আয়োজিত ব্রিফিং ও প্রশ্নোত্তর পর্বে ড. ইউনূস ইস্যু উঠে আসে।

সুতরাং, ড. ইউনূসকে নিয়ে এটিএন নিউজে প্রচারিত ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারির ভিডিও প্রতিবেদনের ফুটেজ সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img