সম্প্রতি, “কুড়িগ্রামে ৩১ জন খ্রিষ্টান মুসলমান হয়েছেন।” শীর্ষক একটি তথ্য ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কুড়িগ্রামে ৩১ জনের ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ঘটনাটি ২০১৯ সালের।
কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ তাছাড়া, কুড়িগ্রামের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘কুড়িগ্রাম বার্তা’র ওয়েবসাইটেও এ বিষয়ে কিওয়ার্ড সার্চ করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক ‘মানবকণ্ঠ’ পত্রিকার ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট “কুড়িগ্রামে খ্রিষ্ট ধর্ম ছেড়ে মুসলিম হলেন ৩১ জন” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “কুড়িগ্রামে সেই ৩১ জন নারী-পুরুষ খ্রিস্ট ধর্ম থেকে মুসলিম হয়েছেন। গত বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে নাগেশ্বরীর সাবিলুর রাশাদ ক্যাডেট মাদরাসায় কালিমা পড়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। সাবিলুর রাশাদ ক্যাডেট মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মোহাম্মদ ফেরদাউস হাসানের তথ্য মতে, ‘এ ৩১ নারী-পুরুষ সবাই আগে মুসলিম ছিলেন। বিভিন্ন সময় খ্রিস্টান মিশনারী পরিচালিত সংস্থাগুলোর নানা প্রলোভন ও আর্থিক সহায়তায় তারা দলবদ্ধভাবে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিল।’ খ্রিস্টান হওয়ার পর তাদেরকে পুনরায় মুসলিম হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাওয়াতি কাজ পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সেচ্ছায় পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন।”
একই তথ্য এসেছে অন্যান্য গণমাধ্যমেও (জাগোনিউজ, আমাদের সময়)।
অর্থাৎ, কুড়িগ্রামে ৩১ জনের ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি ২০১৯ সালের।
মূলত, ২০১৯ সালে কুড়িগ্রামে ৩১ জন নারী-পুরুষ খ্রিস্ট ধর্ম থেকে মুসলিম হন। উক্ত ঘটনাটিকে সম্প্রতি কোনো তারিখ উল্লেখ ব্যতীত “ব্রেকিং নিউজ, কুড়িগ্রামে ৩১ জন খ্রিষ্টান মুসলমান হয়েছেন।” শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং, ২০১৯ সালে কুড়িগ্রামে ৩১ জন নারী-পুরুষ খ্রিস্ট ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।