সম্প্রতি শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে দাবি প্রচার করা হয়েছে, “চট্টগ্রাম ট্যানেলের ভিতরে ভয়াবহ অবস্থা… ট্যানেল খুলে দেওয়ার সাথে সাথে ১৩৯ টি লাশ উদ্ধার করা হয়… আরো অনেকগুলো নাকি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে! সকল রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের দিকে রওনা দিয়েছে”।

এরূপ দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি আলোচিত দাবিতে প্রচারিত উপরোল্লিখিত পোস্টটি ১ লক্ষেরও অধিক বার দেখা হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামে টানেলের ভেতর থেকে ১৩৯টি লাশ পাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে কোনোরকম নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট পর্যবেক্ষণ করলে তাতে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলেও গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে এত বেশি পরিমাণে লাশ পাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটলে তা মূলধারার গণমাধ্যমে প্রচারিত হতো।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলের নিকটবর্তী আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে বলেন, টানেলে সম্প্রতি একটি লাশ পাওয়ার বিষয়েও তিনি কোনো খবর পাননি।
এছাড়াও, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নুরুল আলম আশেকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও নিশ্চিত করেন সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে একসাথে এত পরিমাণ লাশ বা মুমূর্ষু ব্যক্তি আসার দাবি সত্য নয়।
উল্লেখ্য যে, পোস্টটিতে একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে তবে ভিডিওটিতেও কোনো লাশ বা উল্লেখযোগ্য কিছু দেখা যায়নি এবং ভিডিওটি ভ্রমণের সময় ধারণ করা বলে প্রতীয়মান হয়।
সুতরাং, সম্প্রতি চট্টগ্রামে ট্যানেলে ১৩৯ টি লাশ পাওয়ার দাবিটি ভুয়া ও বানোয়াট।
তথ্যসূত্র
- Statement of Md Monir Hosen, OC, Anowara Police Station, Chittagong
- Statement of Nurul Alam Ashek, In-charge, Chittagong Medical College Police outpost
- Rumor Scanner’s analysis