গত ৩ নভেম্বর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তালিকা থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। কিন্তু উক্ত আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। তাই আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন না দেওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও পরবর্তীতে রেলপথ অবরোধ করে তার অনুসারী নেতা–কর্মীরা। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল (৩ নভেম্বর) রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় লায়ন আসলাম চৌধুরী বিএনপির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় দলটির সব পদ থেকে লায়ন আসলাম চৌধুরীর পদত্যাগ করার দাবিটি সঠিক নয়। তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেননি।
আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে গণমাধ্যম, বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর দলটির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি এখন টিভির চট্টগ্রাম প্রতিনিধি হুসাইন আহমেদ জিয়াদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার পদত্যাগের দাবিটি সত্য নয়।
পরবর্তীতে অধিকতর যাচাইয়ের জন্যে লায়ন আসলাম চৌধুরীর ব্যক্তিগত মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, আসলাম চৌধুরী দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও তিনি দলের কোনো পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। তার পদত্যাগের দাবিতে প্রচারিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া।
সুতরাং, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Statement of Abu Taher, Aslam Chowdhury Media Wings
 


                                    


