গত ১৬ মে জাতীয় দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রিন্ট এবং অনলাইন সংস্করণে “সুপার লিগের ‘সুপারম্যান’ সিরিজ” শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কী দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে?
সমকাল পত্রিকার এ বিষয়ে প্রিন্ট এবং অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত মূল প্রতিবেদনের লেখা একই হলেও প্রিন্ট সংস্করণে কিছু ইনফোগ্রাফিক দেখিয়েছে পত্রিকাটি। এছাড়া, মূল প্রতিবেদনের লিংক ফেসবুক পেজে পোস্ট (আর্কাইভ) করা হলেও এ সংক্রান্ত প্রিন্ট সংস্করণের একটি ইনফোগ্রাফিক পোস্ট করে পরবর্তীতে সরিয়ে নিয়েছে পত্রিকাটি৷

দাবি -১
প্রথম ইনফোগ্রাফিকে দাবি করা হয়েছে, তামিম ২৪ ম্যাচে ৭৮৩ রান করেছেন। সাকিব ২০ ম্যাচে ৩১ উইকেট নিয়েছেন এবং মিরাজ ২৩ ম্যাচে ৩০ উইকেট ও ২৭৯ রান করেছেন।
দাবি – ২
সমকালের প্রিন্ট সংস্করণে দ্বিতীয় ইনফোগ্রাফিকে ‘সুপার লিগে বাংলাদেশের মার্কশিট’ শিরোনামে সুপার লিগে বাংলাদেশের সিরিজ দাবি করে কিছু সিরিজের ফলাফল দেখানো হয়েছে।
দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশ আফগানিস্তানের সাথে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হোম সিরিজ খেলে ২-১ ব্যবধানে জয় পায়। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ২০২২ সালের মার্চে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলে ২-১ ব্যবধানে জয় আসে। একই বছরের জুলাইতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। পরের মাসে (আগস্ট) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। সে বছরের (২০২২) ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।
সমকাল দাবি করেছে, সুপার লিগের অংশ হিসেবে চলতি বছর (২০২৩) তিনটি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারের পর একই মাসে (মার্চ) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে চলতি মাসে (মে) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজেও একই ফলাফল আসে (২-০ ব্যবধানে জয়)।
সমকাল এই চার্টটির নিচে বাংলাদেশ সুপার লিগে ২৪ ম্যাচে ১৫ জয়, ৮ হার এবং ১ টি পরিত্যক্ত ম্যাচ পেয়েছে বলে দাবি করেছে৷

দাবি ৩
সমকাল তাদের প্রিন্ট সংস্করণের তৃতীয় ইনফোগ্রাফে দাবি করেছে, সুপার লিগে মিরাজ সর্বোচ্চ চারবার (আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারতের সাথে দুইবার), সাকিব দুইবার (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড) করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন। এছাড়া, লিটন (আফগানিস্তান), তাসকিন (দক্ষিণ আফ্রিকা), নাসুম (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), তাইজুল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), আফিফ (জিম্বাবুয়ে), তাওহিদ হ্দয় (আয়ারল্যান্ড), হাসান মাহমুদ (আয়ারল্যান্ড), নাজমুল হোসেন শান্ত (আয়ারল্যান্ড) এবং মুস্তাফিজুর (আয়ারল্যান্ড)।
তাছাড়া, মূল প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অধিনায়ক তামিম ইকবাল সুপার লিগের কোনো ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হননি।

দাবি ৪
সমকালের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রায় দেড় বছর ধরে চলেছে এই সুপার লিগ। গেল বছরের (২০২২) ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের সুপার লিগ যাত্রা।

দাবি ৫
সমকালের দাবি, সুপার লিগে জিম্বাবুয়েতে গিয়ে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ।

সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি গত ১৭ মে অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশ করেছে আলোকিত বাংলাদেশ।

ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের শেষ আট ওয়ানডে সিরিজকে আইসিসির সুপার লিগের সিরিজ দাবিতে সমকালে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয় বরং শেষ আট সিরিজের মাত্র চারটি ছিল সুপার লিগের অংশ। উক্ত আট সিরিজ ধরে সুপার লিগে বাংলাদেশের ম্যান অব দ্য ম্যাচ বিষয়েও ভুল তথ্য দিয়েছে পত্রিকাটি। একইসাথে সুপার লিগ বর্হিভূত সিরিজ হারের তথ্যকে সুপার লিগের সিরিজ হারের দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে তিন ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স সম্পর্কিত তথ্যগুলো সঠিক।
দাবি ১ বিষয়ে অনুসন্ধান
প্রথম দাবির বিষয়ে অনুসন্ধানে ক্রিকেট বিষয়ক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ‘Cricinfo’ থেকে জানা যায়, তামিম ২৪ ম্যাচে ৭৮৩ রান এবং মিরাজ ২৩ ম্যাচে ২৭৯ রান করেছেন। অন্যদিকে সাকিব ২০ ম্যাচে ৩১ উইকেট এবং মিরাজ ২৩ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়েছেন।

অর্থাৎ, সমকালের এ সংক্রান্ত উল্লিখিত দাবিগুলো সত্য।
দাবি ২ বিষয়ে অনুসন্ধান
সমকালের প্রিন্ট সংস্করণে দ্বিতীয় ইনফোগ্রাফিক চার্টে ‘সুপার লিগে বাংলাদেশের মার্কশিট’ শিরোনামে সুপার লিগে বাংলাদেশের সিরিজ দাবি করে যেসব সিরিজের ফলাফল দেখানো হয়েছে সেসব সিরিজের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (জুলাই ২০২২) , জিম্বাবুয়ে (আগস্ট ২০২২), ভারত (ডিসেম্বর ২০২২) এবং আয়ারল্যান্ডের (মার্চ ২০২৩) বিপক্ষে হোম সিরিজটি সুপার লিগের অংশ নয়।
ক্রিকইনফোর ওয়েবসাইটে সুপার লিগে বাংলাদেশের ফলাফলগুলো দেখুন এখানে।

রিউমর স্ক্যানার টিম বাংলাদেশের ওয়ানডের ফলাফলগুলো বিশ্লেষণ করে দেখেছে, বাংলাদেশ সর্বশেষ যে আটটি সিরিজ খেলেছে সেগুলোকেই সুপার লিগের অংশ ধরে নিয়ে ইনফোগ্রাফ তৈরি করেছে সমকাল। কিন্তু বাংলাদেশের সর্বশেষ আট সিরিজের চারটি সিরিজ সুপার লিগের অংশই নয়।
সমকাল উক্ত চার্টটির নিচে সুপার লিগে বাংলাদেশ ২৪ ম্যাচে ১৫ জয়, ৮ হার এবং ১ টি পরিত্যক্ত ম্যাচ পেয়েছে বলে যে দাবি করেছে তা সত্য। তবে এটা স্পষ্ট যে, সুপার লিগের ম্যাচগুলোর ভিত্তিতে এই গণনা করা হয়নি। কারণ ইনফোগ্রাফিক চার্টটি সর্বশেষ আট সিরিজের ভিত্তিতে তৈরি। তাই ফলাফল গণনার বিষয়টিও সর্বশেষ আট সিরিজ কেন্দ্রিক হবে বলেই প্রতীয়মান হয়। এক্ষেত্রে গণনার ফল মিলে যাওয়া কাকতালীয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
ক্রিকইনফোর সৌজন্যে বাংলাদেশের সর্বশেষ আট সিরিজের ফলাফল দেখুন –

দাবি ৩ বিষয়ে অনুসন্ধান
সমকাল তাদের প্রিন্ট সংস্করণের তৃতীয় ইনফোগ্রাফে ম্যান অব দ্য ম্যাচ সম্পর্কিত যে তথ্যগুলো দিয়েছে তাও সঠিক নয়৷ সমকাল সর্বশেষ আট সিরিজের ফলাফল নিয়ে পুরো প্রতিবেদনটি প্রকাশ করায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের ক্ষেত্রেও উক্ত আট সিরিজের তথ্যই সুপার লিগের দাবিতে প্রকাশ করেছে।
রিউমর স্ক্যানারের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সুপার লিগের ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশের হয়ে সাকিব চারবার, মুশফিক তিনবার, মিরাজ দুইবার, লিটন দুইবার এবং তামিম, তাসকিন, শান্ত ও মুস্তাফিজ একবার করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন।
এখান থেকেই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে, সাকিব সর্বোচ্চ সংখ্যক বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন। কিন্তু সমকালের দাবি, মিরাজের ছিল এই কৃতিত্ব।
সুপার লিগের ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশের ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরো তালিকা দেখুন –
ম্যাচ নং | তারিখ | বিপক্ষ | ম্যান অব দ্য ম্যাচ |
১ | ২০ জানুয়ারি, ২০২১ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | সাকিব আল হাসান |
২ | ২২ জানুয়ারি, ২০২১ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | মেহেদী হাসান মিরাজ |
৩ | ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | মুশফিকুর রহিম |
৪ | ২০ মার্চ, ২০২১ | নিউজিল্যান্ড | ট্রেন্ট বোল্ট |
৫ | ২৩ মার্চ, ২০২১ | নিউজিল্যান্ড | টম লাথাম |
৬ | ২৬ মার্চ, ২০২১ | নিউজিল্যান্ড | ডেভন কনওয়ে |
৭ | ২৩ মে, ২০২১ | শ্রীলঙ্কা | মুশফিকুর রহিম |
৮ | ২৫ মে, ২০২১ | শ্রীলঙ্কা | মুশফিকুর রহিম |
৯ | ২৮ মে, ২০২১ | শ্রীলঙ্কা | দুশমান্তে চামিরা |
১০ | ১৬ জুলাই, ২০২১ | জিম্বাবুয়ে | লিটন দাস |
১১ | ১৮ জুলাই, ২০২১ | জিম্বাবুয়ে | সাকিব আল হাসান |
১২ | ২০ জুলাই, ২০২১ | জিম্বাবুয়ে | তামিম ইকবাল |
১৩ | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | আফগানিস্তান | মেহেদী হাসান মিরাজ |
১৪ | ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | আফগানিস্তান | লিটন দাস |
১৫ | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | আফগানিস্তান | রহমতুল্লাহ গুরবাজ |
১৬ | ১৮ মার্চ, ২০২২ | দক্ষিণ আফ্রিকা | সাকিব আল হাসান |
১৭ | ২০ মার্চ, ২০২২ | দক্ষিণ আফ্রিকা | কাগিসো রাবাদা |
১৮ | ২৩ মার্চ, ২০২২ | দক্ষিণ আফ্রিকা | তাসকিন আহমেদ |
১৯ | ০১ মার্চ, ২০২৩ | ইংল্যান্ড | ডেভিড মালান |
২০ | ০৩ মার্চ, ২০২৩ | ইংল্যান্ড | জেসন রয় |
২১ | ০৬ মার্চ, ২০২৩ | ইংল্যান্ড | সাকিব আল হাসান |
২২ | ০৯ মে, ২০২৩ | আয়ারল্যান্ড | পরিত্যক্ত |
২৩ | ১২ মে, ২০২৩ | আয়ারল্যান্ড | নাজমুল হোসেন শান্ত |
২৪ | ১৪ মে, ২০২৩ | আয়ারল্যান্ড | মুস্তাফিজুর রহমান |
তাছাড়া, মূল প্রতিবেদনে অধিনায়ক তামিম ইকবাল সুপার লিগের কোনো ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হননি শীর্ষক যে দাবি করা হয়েছে তাও সঠিক নয়৷ উপরের টেবিলেই দেখা যাচ্ছে, তামিম ২০২১ সালের ২০ জুলাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৯৭ বলে ১১২ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন। সেসময়ও তিনি দলের অধিনায়ক ছিলেন।
দাবি ৪ বিষয়ে অনুসন্ধান
সমকাল তাদের প্রতিবেদনে প্রায় দেড় বছর ধরে সুপার লিগ চলার দাবি করলেও সেটি সত্য নয়। বাংলাদেশের সুপার লিগ মিশন শুরু হয় ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি। শেষ হয় গত ১৪ মে। অর্থাৎ, দুই বছরের অধিক সময় ধরে সুপার লিগ খেলেছে বাংলাদেশ।
তাছাড়া, সমকাল গেল বছরের (২০২২) ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের সুপার লিগ যাত্রা শীর্ষক যে দাবি করছে তাও সঠিক নয়। বাংলাদেশের সুপার লিগ যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে।
দাবি ৫ বিষয়ে অনুসন্ধান
সমকাল সুপার লিগে জিম্বাবুয়েতে গিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ হারার যে দাবি করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ, সমকালের ইনফোগ্রাফিক চার্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২২ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের যে অ্যাওয়ে সিরিজের বিষয়ে উল্লেখ আছে সেটি সুপার লিগের আওতায় ছিল না। বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে গিয়ে ২০২১ সালের জুলাইতে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলেছিল, যা সুপার লিগের আওতায় ছিল না। উক্ত সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।

মূলত, গত ১৪ মে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের মাধ্যমে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘সমকাল’ পত্রিকা বাংলাদেশের শেষ আট সিরিজকে সুপার লিগের সিরিজ দাবি করেছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, শেষ আট সিরিজের মাত্র চারটি ছিল সুপার লিগের অংশ। উক্ত আট সিরিজ ধরে সুপার লিগে বাংলাদেশের ম্যান অব দ্য ম্যাচ বিষয়েও ভুল তথ্য দিয়েছে পত্রিকাটি। দাবি করেছে, মিরাজ সর্বোচ্চ চারবার ম্যাচ সেরা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, সাকিব সর্বোচ্চ সংখ্যকবার (৪) ম্যাচ সেরা হয়েছেন। তাছাড়া, সমকালের দাবি, তামিম সুপার লিগে একবারও ম্যাচসেরা হননি যা সত্য নয়। তামিম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একবার ম্যাচসেরা হয়েছেন। একইসাথে সুপার লিগ বর্হিভূত জিম্বাবুয়ের সাথে ২০২২ সালের সিরিজ হারের তথ্যকে সুপার লিগের সিরিজ হারের ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে সমকালের প্রতিবেদনে। তবে প্রতিবেদনে তিন ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স সম্পর্কিত তথ্যগুলো সঠিক।
সুতরাং, বাংলাদেশের শেষ আট সিরিজকে সুপার লিগের অংশ দাবিতে সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একাধিক তথ্য প্রদান করা হয়েছে; যার অধিকাংশই মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Cricinfo: Season Cricket Schedule
- Cricinfo: Records in ICC Men’s Cricket World Cup Super League, 2020-2022_23
- Cricinfo: Super League Bangladesh Results
- Rumor Scanner’s own analysis