সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন মেয়ের লাশের ছবি প্রচার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘হায়রে লাল স্বাধীনতার বাংলাদেশ… কিছু লোক মেয়ে টাকে ধ’র্ষ’ণ করে জীবন্ত মাটিতে চাপা দিয়ে চলে গেছে’।
অর্থাৎ, দাবি প্রচার করা হয়েছে প্রচারিত লাশের ছবিটি বাংলাদেশি এক মেয়ের যাকে ধর্ষণ করে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি বাংলাদেশি কিশোরীকে ধর্ষণ করে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়ার কোনো ঘটনার নয় বরং, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক ঝাউবন থেকে উদ্ধারকৃত কিশোরীর ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’ এর ওয়েবসাইটে গত ২৭ অক্টোবরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে একটি ছবিরও সংযুক্তি পাওয়া যায়, যার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির মিল পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুটের গোপালপুর সমুদ্র উপকূলে ঝাউগাছের ভিতর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। তবে কী কারণে খুন বা কীভাবে খুন, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। গত ২৬ অক্টোবর (রবিবার) বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ স্থানীয় কয়েকজন মহিলা ঝাউবনের দিকে গিয়েছিলেন। সেই সময় ওই তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে থাকেন। তার হাত-পা বাঁধা ছিল এবং গলায় ওড়নার ফাঁস ছিল।
এছাড়াও, এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টিভি৯ বাংলা’র ওয়েবসাইটে আলোচিত ছবি সম্বলিত একটি প্রতিবেদন গত ২৬ অক্টোবরে প্রকাশ/আপডেট হতে দেখা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের গোপালপুর সমুদ্র উপকূল এলাকার ঝাউবন থেকে উক্ত কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতার নাম অর্চনা পণ্ডিত (১৫)।
এছাড়াও, এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘আনন্দবাজার’ এর ওয়েবসাইটে গত ২৭ অক্টোবরে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একইরকম তথ্য জানা যায়।
এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ছবিটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের।
সুতরাং, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক ঝাউবন থেকে উদ্ধারকৃত কিশোরীর ছবিকে বাংলাদেশি কিশোরীকে ধর্ষণ করে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনার ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।





