সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হামলায় সেনা সদস্য রক্তাক্ত দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় স্কুলশিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জুম্ম ছাত্র জনতার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হামলায় রক্তাক্ত সেনা সদস্যের ফুটেজ এটি।  

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। 

এই ভিডিওটি ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমেই দেখা হয়েছে ২৩ লক্ষেরও অধিক বার। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি খাগড়াছড়ির সাম্প্রতিক ঘটনার নয়। বরং, গত ০২ সেপ্টেম্বর নীলফামারিতে ইপিজেড শ্রমিকদের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার ফুটেজকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে গত ০২ সেপ্টেম্বর ‘Military Freaks’ নামে একটি পেজে প্রকাশিত একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, “নীলফামারীতে ঘটনায় উশৃঙ্খল শ্রমিকরা প্রথমে সেনাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে ১০-১৫ জন সৈনিককে গুরুতরভাবে আহত করে, যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।” এটি সে ঘটনার দৃশ্য।

Screenshot Comparison by Rumor Scanner  

জাতীয় দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় সেদিন প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেদিন নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রমিকদের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন শ্রমিক নিহত হন। আহত হন আরও ১০ জন।

অর্থাৎ, আলোচিত ফুটেজটি খাগড়াছড়িতে চলমান সংঘর্ষের ঘটনার নয়। 

সুতরাং, চলতি মাসের শুরুতে নীলফামারিতে ইপিজেড শ্রমিকদের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় সেনাসদস্য আহত হওয়ার ভিডিওকে খাগড়াছড়ির সাম্প্রতিক ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img