খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী কর্তৃক মসজিদ ভাঙচুরের দৃশ্য দাবিতে মাজার ভাঙচুরের পুরোনো ভিডিও প্রচার

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় স্কুলশিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জুম্ম ছাত্র জনতার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ‘উপজাতিরা মসজিদ ভাংচুর করতেছে’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে সংঘটিত সংঘর্ষে পাহাড়িদের দ্বারা কোনো মসজিদ ভাঙচুরের ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৪ সালে সিরাজগঞ্জে একটি মাজার ভাঙচুরের ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘মোজাহের ভাই’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ‘আবারও একটি মাজার ভাঙচুর করা হচ্ছে দিনের আলোতে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে, বাবা আলি পাগলার মাজারে’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর একটি অংশের সাদৃশ্য রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওর ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

একই তথ্য Holy Sureswar Darbar Sharif নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ৩০ আগস্ট প্রকাশিত ভিডিও থেকেও পাওয়া যায়। 

এসব তথ্যের সূত্র ধরে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরের ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট ‘কাজিপুরে মাজার ভাঙচুর, মসজিদের ইমাম চাকরিচ্যুত’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই বছরের ২৯ আগস্ট সিরাজগঞ্জের জেলার কাজীপুর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের আলী পাগলার মাজারে ভাঙচুর চালায় শালগ্রাম তমিজউদ্দিনের বাড়ি জামে মসজিদের পেশ ইমাম গোলাম রব্বানী ও তার লোকজন। তারা হাতুড়ি, কোদাল, শাবল দিয়ে মাজারের সব স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং মাজারের ওপরে উঠে পা দিয়ে আঘাত করে। মুহূর্তেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সুতরাং, সিরাজগঞ্জে মাজার ভাঙচুরের পুরোনো ভিডিওকে সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে মসজিদ ভাঙচুরের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img